'তৃণমূল ছোট চাদর, মাথা ঢাকলে পা বেরিয়ে যায়'! মুকুল রায়ের প্রসঙ্গ তুলে শোভন চট্টোপাধ্যায় উগড়ে দিলেন ক্ষোভ
তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে বহু আগেই। দিল্লিতে গিয়ে তিনি রাজকীয় মর্যাদায় বিজেপি যোগ দিয়েছিলেন। সেদিনও তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দেন। বাংলার রাজনীতির সেই পোড়খাওয়া সৈনিককে বিজেপি এবার কলকাতা জোনের দায়িত্বে রেখেছে। আর তার সূ্ত্র ধরে কলকাতার বুকে মেগা মিছিলের ২৪ ঘণ্টা আগে পারদ চড়ালেন শহরের প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।

দমবন্ধ করা পরিস্থিতি তৃণমূলে!
শোভন চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, তৃণমূলের অন্দরে এখন দমবন্ধ করা পরিস্থিতি। যে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দল গঠিত হয় ,যে ভাবনা নিয়ে তা হয়, এখন সেই জায়গা থেকে তৃণমূল সরে এসেছে বলে শোভনবাবু ইঙ্গিত দেন। ফলে অনেকেই 'সুযোগ পেলে' সরে আসছেন বলে এদিন নিজের বার্তা পেশ করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।

মুকুল প্রসঙ্গে শোভন
' যাঁরা সংগ্রাম করে দল প্রতিষ্ঠা করেছিলন... সেই মুকুল রায় থাকতে পারলেন না তৃণমূলে'। এই বক্তব্য শোভন চট্টোপাধ্যায় তুলে ধরেন। তিনি জানাব, দল গড়ার অন্যতম কাণ্ডারী মুকুল রায়ও চরম পরিস্থিতির জেরেই দলে থাকতে পারেননি। আর দলের অন্দরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য আত্ম সমালোচনা করা উচিত তৃণমূলের বলে দাবি করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।

তৃণমূল ছোট চাদরের মতো
শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন,তৃণমূল এখন ছোট চাদরের মতো। মাথা ঢাকতে গেলে , পা বেরিয়ে যায়। এদিকে, শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের এই বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের তাপস রায় বলেন, যে চাদরের নিচে শোভন চট্টোপাধ্যায় এতদিন ছিলেন,তা নিয়েই এখন এমন মন্তব্য করছেন শোভনবাবু। যে মন্তব্যকে কার্যত উড়িয়ে দেন তাপস রায়।

শোভন-বৈশাখী মেগা রোড শো
প্রসঙ্গত, আগামীকাল গোলপার্ক থেকে সেলিমপুর পর্যন্ত শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেগা রোড শো রয়েছে। সেই প্রসঙ্গ সহ দলের কিছু কর্মসূচি নিয়ে এদিন বৈঠক হয় বিজেপির হেস্টিংস অফিসে। সেই বৈঠক শেষে শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, তিনি দলের অনুঘটক হয়ে কাজ করতে আগ্রহী। পাশপাশি যাবতীয় জল্পনা শেষ করে তিনি বলেন, আগামীকাল ৩ টে থেকে শুরু হতে চলা রোড শোতে তাঁর সঙ্গে থাকবেন বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্যায়ও। প্রসঙ্গত, কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক হিসাবে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নজরে কলকাতার ৫১ টি এলাকা রয়েছে। যেখানে বিজেপি ভালো ফলের আশায় বুক বাঁধছে। এই জোনের বিজেপি কর্মীরা যাতে উজ্জীবীত হয়ে ভোটের ময়দানে নামেন, সেই বিষয়েও শোভন চট্টোপাধ্যায়দের সঙ্গে আজ আলোচনায় বসে বিজেপি নেতৃত্ব।