শোভন-বৈশাখীর হাত ধরে এবার মেগা দলবদল কি আসন্ন! অভিষেকের গড় তাক করে বিজেপির অন্দরে কোন পরিকল্পনা
মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েই একের পর এক হেভিওয়েটে গেরুয়া শিবির পরিপূর্ণ করেন। এরপর শুভেন্দু অধিকারী কার্যত ক্রমান্বয়ে তৃণমূলে গ্রাস পোক্ত করছেন। তিনি জানিয়েইছেন কাঁথি থেকে তিনি তৃণমূলকে 'ঝোঁটিয়ে বিদায়' করবেন।
মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েই একের পর এক হেভিওয়েটে গেরুয়া শিবির পরিপূর্ণ করেন। এরপর শুভেন্দু অধিকারী কার্যত ক্রমান্বয়ে তৃণমূলে গ্রাস পোক্ত করছেন। তিনি জানিয়েইছেন কাঁথি থেকে তিনি তৃণমূলকে 'ঝোঁটিয়ে বিদায়' করবেন। তবে বিজেপিতে দীর্ঘদিন হল যোগ দিয়েও সেভাবে দলবদল ঘিরে 'সক্রিয়' ভূমিকায় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে পাওয়া যায়নি। তবে এবার হয়তো খেলা ঘুরতে পারে! কেন এমন মত ওয়াকিবহাল মহলের দেখা যাক।
অভিষেকগড় ডায়মন্ডহারবার নিশানায়!
ইতিমধ্যেই অভিষেক ইস্যুতে বিজেপিতে গিয়ে তৃণমূলের বহু প্রাক্তন নেতাই পারদ চড়িয়েছেন। এবার সেই অভিষেকের কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারে রোড শো করতে চলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই রোড শো ঘিরেই একাধিক সম্ভাবনার প্রসঙ্গ উঠতে শুরু করেছে।
ডায়মন্ডহারবারে কবে রোড শো শোভন বৈশাখীর?
জানা গিয়েছে, ১৮ জানুয়ারি ডায়মন্ডহারবারে রোড শো রয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোরাধ্যায়ের।সেই রোডশোর পর তাঁদের সেখান একটি সভা করার কথা রয়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে আপাতত পুলিশি অনুমতি বাকি রয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে ডায়মন্ডহারবারেই সভা করতে গিয়ে প্রবল হিংসার শিকার হতে হয় বিজেপির সর্বভারতীয় প্রধান জেপি নাড্ডাকে। যা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। তারপর বিজেপির এই আসন্ন হাইপ্রোফাইল রোড শো ঘিরে কোন পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেদিকে নজর সকলের।
মেগা দলবদল কি হতে পারে!
প্রসঙ্গত, ডায়মন্ডহারবারে নিজের পুরোন বিশ্বস্ত স্নেহভাজনদের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের যোগাযোগ এখনও রয়েছে বলে খবর। এককালে তৃণমূলের তরফে এই ডায়মন্ডহারবারে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। সেই জায়গা থেকে তৃণমূলের দীপক হালদার সদ্য শোভনের বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করনেষ। এদিকে দীপকবাবু দলের অন্দে থেকে বেসুরো হতেও শুরু করেছেন। ফলে জল্পনা রয়েই যাচ্ছে।
বছরের শুরুতেই শোভনের বাড়িতে কারা?
ঘটনা কয়েকদিন আগের। ২০২১ সালের শুরুতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য দফতরের কর্মাধ্যক্ষ আবু তাহের সহ জেলার বহু নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। এছাড়াও দীপক হালদারের সঙ্গে শোভনের বৈঠকও রাজ্য রাজনীতিতে তাৎপর্য রেখেছে। এর আগে শোভনের প্রথম রোডশোর সম্ভাবনার আগে শোনা গিয়েছিল কলকাতার ৩ জন বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর সম্ভবত শোভনের হাত থেকে বিজেপির পাতাকা নিতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে ১৮ জানুয়ারির রোড শো বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
১৭ সাংগঠনিক বৈঠক
জানা গিয়েছে,১৮ তারিখের এই মেগা সভার আগে, ১৭ তারিখ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে বসবেন। সেখানে দিলীপ ঘোষের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত সাংগঠনিক বৈঠকে শোভন , বৈশাখী উপস্থিত থকলেও, ছিলেন না দিলীপ ঘোষ। এমনই দাবি সূত্রের। এদিকে, ১৭ তারিখের বৈঠকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও উপস্থিত থাকছে বলে খবর।
অনুব্রত মণ্ডলের মহাযজ্ঞ বিজেপির জন্য! 'প্রমাণ' দিয়ে জল্পনা বাড়ালেন দিলীপ ঘোষ