suvendu adhikari-কে ফোন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেবের! কী কথা হল দুজনের?
suvendu adhikari-কে ফোন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেবের! কী কথা হল দুজনের?
নদী ভাঙন নিয়ে গত কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানও। এবার এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ফোন করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বেশ কিছুক্ষণ দুজনের মধ্যে কথা হয়। নদী ভাঙন নিয়ে কেন্দ্রের কাছে সর্বদল প্রস্তাব পাঠানো হবে। তা নিয়েই মূলত বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান এই বিধায়ক।
লিখিত প্রস্তাব পাঠানোর কথা
জানা গিয়েছে, ফোনালাপে প্রস্তাবটি লিখিত ভাবে সরকার যাতে দেয় তেমনটাই রাজ্যের মন্ত্রীকে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। আর সেই প্রস্তাব নিয়ে পরিষদীয় দলে আলোচনা করা হবে। আর এরপর বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর এরপর ২৪ ঘন্টার মধ্যে তা রাজ্যকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানা যাচ্ছে। যদিও মন্ত্রী শোভনদেব জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে দিল্লিতে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ফিরলে এই বিষয়ে আলোচনা করা হবে বলেও জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী। আর তা আলোচনা করেই শুভেন্দু অধিকারীকে সরকারি ভাবে ওই প্রস্তাব পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিধানসভাতে একটি প্রস্তাব আনা হয়।
জানা যাচ্ছে, নদী ভাঙন নিয়ে বিধানসভাতে একটি প্রস্তাব আনা হয়। আর তা আনেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। নদী ভাঙন নিয়ে বিজেপিকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানানো হয়। যৌথ ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রতিনিধিদল পাঠাতে চায় রাজ্য। আর তা স্বাগত জানান বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা। যদিও এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিরোধী দলনেতার সঙ্গে আলোচনা করেই করা হবে বলে জানান তিনি। আর এই সুত্র ধরেই রাজ্যের মন্ত্রী এদিন বিরোধী দলনেতাকে পাঠিয়ছেন বলে জানা যাচ্ছে।
আপত্তি জানিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ
যদিও সবাইকে মিলে জোট বেঁধে দিল্লি যাওয়া নিয়ে আগেই আপত্তি জানিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের উন্নয়ন দরকার। কিন্ত্য সবাই মিলে গিয়ে দরবার করবে। আর সেই টাকা পেলে সরকার পাবে। আর তা দিয়ে তৃণমূল কেলেঙ্কারি করবে বলেও মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে দাঁড়িয়ে এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী কি সিদ্ধান্ত নেন সেদিকে তাকিয়ে রাজ্যের মানুষ। বলে রাখা প্রয়োজন , গত কয়েকদিন আগেই বিধানসভাতে বিরোধী দলনেতাকে তলব করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে যাবতীয় বিতর্ক তৈরি হয়। আর এর মধ্যে এবার রাজ্যের মন্ত্রীর ফোন শুভেন্দু অধিকারীকে। যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।