‘যাঁরা ডিএ পাচ্ছেন না, তাঁরা দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পান', কেন এমন বললেন মমতার মন্ত্রী
মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে জটিলতা! হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সরকার। অন্যদিকে হাইকোর্টে জমা দেওয়া এক হলফনামাতে চাঞ্চল্যকর দাবি রাজ্যের। কার্যত সেখানে মেনে নেওয়া হয় যে বর্ধিত হারে
মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে জটিলতা! হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ সরকার। অন্যদিকে হাইকোর্টে জমা দেওয়া এক হলফনামাতে চাঞ্চল্যকর দাবি রাজ্যের। কার্যত সেখানে মেনে নেওয়া হয় যে বর্ধিত হারে ডিএ দিতে অপারগ রাজ্য সরকার।
শুধু তাই নয়, রাজ্যের আর্থিক অবস্থা ভালো নয় বলেও মেনে নেওয়া হয়েছে ওই হলফনামাতে। আর এরপরেই রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। শুধু তাই নয়, টাকাগুলো কোথায় যাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় নেতা দিলীপ ঘোষ।
গরীব মানুষের কথাও ভাবতে হয়।
এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক মুখের কথা তুলে ধরবেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি রাজ্যের সরকারি কর্মীদের আরও কয়েকদিন ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিলেন তিনি। শোভনদেব বলেন, সঠিক সময় মুখ্যমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা দেবেন। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী নিজেও চান সমস্ত কর্মীদের সঠিক সময়ে ডিএ দিতে। কিন্ত্য কেন দিতে পারছেন না সে বিষয়ে কার্যত সাফাই দিয়েছেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী। বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে সাধারণ মানুষ এবং গরীব মানুষের কথাও ভাবতে হয়।
একাধিক প্রকল্প চালু রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আর এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, রাজ্যের গরীব মানুষের কথা ভেবে একাধিক প্রকল্প চালু রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের কথা ভাবতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের মানবিক কথার বিষয়টি তুলে ধরে শোভনদেব চট্টোপধ্যায় বলেন, ''যাঁরা ডিএ পাচ্ছেন না, তাঁরা দু'বেলা দু'মুঠো খেতে পান। কিন্ত্য যে প্রকল্প গুলি কষ্ট করে হলেও মুখ্যমন্ত্রী চালাচ্ছেন তাঁদের জন্যে যারা দুবেলা ঠিক মতো খেতে পারেন না বলেও দাবি। ফলে কোনটা আগে তা প্রাইরিটি দিয়ে ভাবা উচিৎ বলেও মন্তব্য। ফলে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের কিছু ধৈজ্য ধরতে বলেন রাজ্যের মন্ত্রী।
ডিএ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের অধিকারের মধ্যে পড়ে।
যদিও বিরোধীদের দাবি, ডিএ রাজ্যের সরকারি কর্মীদের অধিকারের মধ্যে পড়ে। অন্যান্য রাজ্য দিতে পারলেও কেন এই রাজ্য দিতে পারছে না তা নিয়ে প্রশ্ন বাম-বিজেপির। বলে রাখা প্রয়োজন, তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। প্রথমে সিঙ্গল বেঞ্চ এবং পরে ডিভিশন বেঞ্চ এই সংক্রান্ত নির্দেশ বহাল রাখে। আর এর মধ্যেই ফের একবার হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার। পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায় সেদিকে তাকিয়েই পরবর্তী সদ্ধান্ত রাজ্যের। এমনটাই জানা যাচ্ছে।