শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ঘরওয়াপসির পথ বন্ধ এক ‘মেসেজে’ই! রহস্য আরও জটিল
ভাইফোঁটার দিনই শোভন নাকি মেসেজ পাঠিয়েছিলেন রত্নাকে। সেই মেসেজ কে পাঠিয়েছিলেন, তা স্পষ্ট হয়নি। কিন্তু ওই মেসেজই ফের কাল করেছে শোভনের।
ভাইফোঁটার দিনই শোভন চট্টোপাধ্যায় নাকি মেসেজ পাঠিয়েছিলেন রত্নাকে। সেই মেসেজ কে পাঠিয়েছিলেন, তা স্পষ্ট হয়নি। কিন্তু ওই মেসেজই ফের কাল করেছে শোভনের। বিজেপিতে গিয়েও রাজনীতির মুক্ত বাতাসে ফিরতে পারেননি শোভন। তাঁর ঘরওয়াপসি নিয়ে যখন জল্পনার পারদ চড়ছিল, তখনই মেসেজ-রহস্য তাঁকে বিপাকে ফেলে দিয়েছে।
মেসেজ দিদির নজরে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ভাইফোঁটা নেওয়ার পরেই শোভনের ফোন নম্বর থেকে হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ গিয়েছিল রত্নার ফোনে। সেই মেসেজে জানানো হয়েছিল- সত্যেরই জয় হল। এবার মিউচুয়াল ডিভোর্স দাও। এমনই দাবি রত্মার। এখানেই ইতি নামেনি বিষয়টির। পরদিনই ওই মেসেজ দিদির নজরে এনেছিলেন রত্না।
তৃণমূলে ফেরার পথ ফের রুদ্ধ!
ওই মেসেজের পরই শোভনের তৃণমূলে ফেরার পথ ফের রুদ্ধ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের। শোভনের ঘরওয়াপসি নিয়ে যে জল্পনার পারদ চড়েছিল এক ঝটকায় তা পড়ে গিয়েছে। ওই মেসেজই যাবতীয় সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিয়েছে। শোভনের ভবিষ্যৎ ফের ধোঁয়াশায় ঢেকেছে।
ঘরওয়াপসির আলোড়ন থামে মেসেজে
উল্লেখ্য, দিদির বাড়িতে ভাইফোঁটা নিতে যাওয়ার পরই শোভনের ঘরওয়াপসি নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। তিনি তৃণমূলে ফিরছেন এবং মন্ত্রিত্ব ফিরে পাচ্ছেন এমন জল্পনাও শুরু হয়েছিল। কিন্তু তারপর সব চুপচাপ হয়ে যায়। একাংশের ধারণা এই মেসেজই বাধ সেধেছে শোভনের ঘরওয়াপসিতে।
মেসেজ পড়ে দিদির বাড়ি রত্না
ওই মেসেজে আরও লেখা ছিল ছিল, বৈশাখীর সম্মানের জন্য লড়ে জিতলাম তো! এর পরই উত্তপ্ত মেসেজ বিনিময় হয়েছিল শোভন-রত্নার মধ্যে। পরদিনই সটান দিদির বাড়িতে চলে এসেছিলেন রত্না। মমতাকে তাঁর ফোনে আসা মেসেজও দেখিয়েছিলেন। শোভনের সেই মেসেজ দেখে মমতাও ক্ষুব্ধ হন বলে খবরে প্রকাশ।
কেন এসব মেসেজ, প্রশ্ন মমতার
মমতা সঙ্গে সঙ্গে শোভনকে ফোন করে জানতে চান, কেন এসব মেসেজ পাঠিয়েছে রত্নাকে। শোভন জানিয়ে দেন, তিনি কোনও মেসেজ পাঠাননি। রত্নার ফোন নম্বর ব্লক করা আছে। তাহলে মেসেজ পাঠাল কে? তা নিয়েই শুরু হয়েছে ধন্দ। এর আগেও শোভনের ফোনে রত্নার মেসেজ ঢুকেছিল। কী করে তা সম্ভব হল তা তিনি জানতে চেয়েছিলেন মোবাইল কর্তৃপক্ষের কাছেও।