শোভনের সক্রিয়তা ফের কি বাধা পড়বে বৈশাখীতে! প্রশ্নে বিজেপির প্রয়োজনীয়তা
অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজনৈতিক ময়দানে সাড়া পড়ে গিয়েছিল কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় এবার সক্রিয় হতে চলেছেন। শোভন-শিবিরকে তৎপরতাও তুঙ্গে উঠেছিল। কিন্তু শোভন-বান্ধবী বৈশাখীর তাৎপর্যপূর্ণ বার্তার পর ফের শোভন-কাননে পদ্ম ফোটা নিয়ে ফের তুমুল জল্পনা তৈরি হয়েছে।

শোভনের সক্রিয় হয়ে রাজনীতিতে ফেরা আবার অনিশ্চিত
অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শোভনের বিজেপিতে সক্রিয় হওয়ার বিষযটি প্রথম জানিয়েছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ই। সেই তিনিই অমিত বংলা ছাড়তেই উল্টো সুর গাইলেন। তিনি তাঁর নিজের বিজেপিতে সক্রিয় হওয়া নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুলে দেন। প্রশ্ন তোলেন, বিজেপিতে সম্মান প্রাপ্তি নিয়েও। তাতেই শোভনের সক্রিয় হয়ে রাজনীতিতে ফেরা আবার অনিশ্চিত।

শোভনের সক্রিয়তা নিয়ে ধন্দ জিইয়ে রাখলেন বৈশাখী
শোভন-বান্ধবী বৈশাখী নিজে কতটা সক্রিয় হবেন বিজেপিতে, তা নিয়ে ধন্দ জিইয়ে রেখে তিনি বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির আমাকে প্রয়োজন হবে বলে মনে হয় না।। যদি তাই হয়, তহালে সেটা কীরকম প্রয়োজন দেখব। সম্মানের সঙ্গে যদি কাজ করতে পারি, তাহেল নিশ্চয় করব, অন্যথায় নয়।

শোভনের লড়াই ছিল বৈশাখীকে সম্মান দেওয়ার জন্যই
বৈশাখীর এই কথাই শোভনের সক্রিয় হওয়ার পিছনে বড় বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে। কেননা শোভনের তৃণমূলে থেকেও অজ্ঞাতবাসে চলে যাওয়া কিংবা বিজেপিতে যোগ দিয়েও ১৫ মাস অন্তরালে থাকা কিন্তু ওই একটা প্রশ্নে সীমাবদ্ধ ছিল। শোভনের লড়াই ছিল বৈশাখীকে সম্মান দেওয়ার জন্যই। সেটাই যদি বিজেপিতে বাধ সাধে, তাহেল শোভনের সক্রিয় হওয়া হবে না।

অমিতের ডাকে আশার আলো দেখেছিলেন শোভন-অনুগামীরা
অমিত শাহের সফরের মাঝেই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে শোভন-বৈশাখী বৈঠকে যোগদান করেছিলেন। তারপরই প্রশ্ন উঠেছিল শোভন কি এবার সক্রিয় হবেন রাজ্য রাজনীতিতে। আবারও কি শোভনকে দেখা যাবে তাঁর চেনা ময়দানে, নাকি ফের তিনি ঢুকে যাবেন অন্তরালে? শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে সল্টলেকের একটি পাঁচতারা হোটেলে অমিত শাহের আধঘণ্টা বৈঠকের পর আশার আলো দেখেছিলেন শোভন-অনুগামীরা।

শোভনকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি প্রভাব বিস্তার, বরফ গলল কই
শোভনকে গুরুদায়িত্ব দিচ্ছেন অমিত শাহ?
শোভনকে সক্রিয় হয়ে দক্ষিণ কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিজেপির বিস্তারলাভ সহায়ক হতে বলেছেন অমিত শাহ, এমনই কথা জানা যায় বিশ্বস্ত সূত্রে। বিজেপি এই দুই ক্ষেত্রেই কমজোরি। তাই শোভনকে কাজে লাগিয়ে এই দুই জায়গায় বিজেপি প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে। ফলে শোভন গুরুত্ব পাওয়ায় বরফ গললেও গলতে পারে বলে মনে করেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

অমিতের ঢালাও প্রশংসা, তারপরও প্রশ্ন বৈশাখীর মনে
এই বৈঠকের পর শোভন সংবাদিকদের কোনও কথা না বললেও, তিনি যে খুশি, তা অকপটে বুঝিয়ে দিয়েছেন। বৈশাখী জানিয়েছেন, খুব ভালো বৈঠক হয়েছে। আমাদের প্রত্যেকটা কথা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন অমিতজি। তার ভিত্তিতেই যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে পরবর্তী কর্মপন্থা স্থির করে দিয়েছেন।

বিজেপির প্রয়োজনীয়তা ও সম্মানের প্রশ্ন তুলে দিলেন বৈশাখী
অমিত শাহকে পছন্দের নেতা বলে মন্তব্য করে বৈশাখী শোভনের সঙ্গে তাঁকে এক ফ্রেমে বন্দি করে রাখেন। তারপর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিজেপির প্রয়োজনীয়তা ও সম্মানের প্রশ্ন তুলে দিলেন বৈশাখী। কেননা এই সম্মানের প্রশ্নেই তাঁরা সরে এসেছিলেন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরও। তারপর ১৫ মাসে কেটে গিয়েছে, কেউই সক্রিয় হয়নি।