শোভন চট্টোপাধ্যায়ের উত্তরণ থমকে আছে বৈশাখী-ঝড়ে, বিজেপিতে ভবিষ্যৎ নিয়ে শাঁখের করাত
এক বিধায়ক তথা প্রাক্তন মেয়র তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের দিনেই দলে ফের বেসুরো বাজতে শুরু করে দিলেন অন্য এক বিধায়ক তথা প্রাক্তন মেয়র।
তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় নাম লিখিয়েছেন বিজেপিতে। কিন্তু বিজেপিতে গিয়েও তিনি এখন শাঁখের করাতে পরেছেন। না পারছেন ছেড়ে আসতে আর না পাচ্ছেন দলে গুরুত্ব। বিজেপি ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তা কি সহজ। কোথায় যাবেন শোভন? তৃণমূলের পথও তো বন্ধ। আর বিজেপিতে তাঁর উত্তরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বান্ধবী বৈশাখী!
বিজেপির কাছে দুজন দুই মেরুতে
বিজেপি শোভনকে গুরুত্ব দিতে চাইলেও বৈশাখীকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না। বিজেপির একাংশ আবার বৈশাখীকে নিম্নরুচির বলেও আখ্যা দিয়েছে। প্রথমদিন থেকেই দেবশ্রীকে নিয়ে বিতর্ক তারপর দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মঞ্চেই বিবাদে বৈশাখী বিজেপিতে জায়গা পাচ্ছে না। এখন বৈশাখীর বিজেপির থেকে দূরত্ব তৈরি হলে কি শোভনের পক্ষে সম্ভব বিজেপিতে সঠিক জায়গা করে নেওয়া।
শোভনের উত্তরনে বাধা বৈশাখী!
বিজেপি শোভনকে উচ্চপদ দিতে চাইলেও শুধু বৈশাখীর কারণেই তা আটকে রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। বৈশাখী গুরুত্ব না পাওয়ায় মাঝেমধ্যেই নান মন্তব্য করে ফেলছেন। এমনকী তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বার্তাও ঘুরিয়ে দিয়ে রেখেছেন। তেমনই এক মনোভাব থেকে অমিতের সভায় না গিয়ে পার্থকে ফোন করার পরিকল্পনা বলেও একাংশ মনে করছে।
ব্যক্তিগত কাজ আগে, দল ব্রাত্য
এদিন অমিত শাহের সভায় অনুপস্থিত ছিলেন তা নয়, মঙ্গলবারই বৈশাখী ফোন করেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও। দলীয় সভায় উপস্থিত না থাকার কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ার কথা জানিয়েছেন বৈশাখী। সওয়াল করেছেন শোভনের হয়েও। শোভনও আদালতের কাছে যেতে পারেননি বলে তাঁর ব্যাখ্যা।
বৈশাখী আছে, শোভনের ব্যাপারে নিস্পৃহ বিজেপি
এই অবস্থায় বিজেপি বৈশাখীকে নিয়ে ভিন্ন মেরুতে অবস্থা করায় শোভনের ব্যাপারে নিস্পৃহ থাকতে বাধ্য হচ্ছে। তা না হলে কলকাতা পুরসভা ভোটের আগে শোভনকে নিয়ে বিশেষ ভাবনা ছিল বিজেপির। বৈশাখীর উপরই শোভনের গতিবিধি নির্ভর। তাই বৈশাখী না করলে এখন শোভনের কিছু করণীয় নেই বলেও মনে করছে বিজেপি।
তাঁরা থাকুন বা না থাকুন বিজেপি থাকছে
তবে তিনি এদিনই কেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করলেন, তা নিয়েও জল্পনার পারদ চড়ে। বৈশাখী জানান, নিতান্তই প্রাতিষ্ঠানিক কারণে তাঁকে ফোন করতে হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রীকে। তাঁরা অমিত শাহের সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন আগে থেকে এবং ক্ষমা প্রার্থনাও করেছিলেন। বলেছিলেন, তাঁরা বিজেপিতে থাকুন বা না থাকুন বিজেপি থাকছে।
[পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদকে জোরদার তোপ মার্কিন মুলুকের! ভারতকে সতর্ক করে ট্রাম্প প্রশসনের বড় বার্তা ]
[বিক্ষোভ আর প্রশ্নের মুখে মেজাজ হারালেন নীতীশ! পাটনার সঙ্গে জুড়লেন আমেরিকাকে ]