শোভনের অবস্থান সেই বিশ বাঁও জলে, একুশে নির্বাচনের আগে মুকুল রায়ই কি ধরবেন হাল
সব ঝড়-ঝাপ্টা কাটিয়ে ২০২১-এর লক্ষ্যে বিজেপিতে মুকুল রায়ের উত্থান হলেও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে এখনও ঝুলে রইল সিদ্ধান্ত। শোভন একপ্রকার বিজেপিতে সক্রিয় হওয়ার বার্তা চূড়ান্ত করে দিলেও তাঁকে গুরুত্বের আসন এখনও দেওয়া হল না। বিজেপিতে ১৩ মাস কাটানোর পর এখন তিনি রাজ্য কর্মসমিতির সদস্যমাত্র।

মুকুলকে নিয়ে জল্পনার অবসান, শোভন দোটানায়
করোনা লকডাউন পিরিয়ডে বিজেপিতে মুকুল রায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বারেবারে বিব্রত হতে হয়েছে। একবার বিজেপি, একবার তৃণমূলের দিকে পেন্ডুলামের মতো দুলেছেন শোভন। মুকুলকে নিয়েও তেমনই প্রশ্নবাণের মুখোমুখি হতে হয়েছে বিজেপিকে। সম্প্রতি কৈলাশের আগমনে মুকুলকে নিয়ে সমস্যা দূর হয়েছে। শোভনকে নিয়ে এখনও দোটানায়।

শোভনের সক্রিয়তার ইঙ্গিতে আমন্ত্রিত সদস্যপদ
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক সক্রিয়তা এখনও বিশ বাঁও জলে। এখনও তিনি কবে সক্রিয় হবেন, তা স্থির করে উঠতে পারেননি। বিজেপিও এখনও চূড়ান্ত করে উঠতে পারেনি শোভনকে নিয়ে তাঁদের অবস্থান। সম্প্রতি শোভন বিজেপিতে সক্রিয় হওয়ার ইঙ্গিত দিলে তাঁকে রাজ্যের কর্মসমিতির আমন্ত্রিত সদস্যপদ দেওয়া হয়।

শোভনের সদস্যপদ প্রাপ্তি নিয়ে বিতর্ক
যদিও সেই সদস্যপদ প্রাপ্তি নিয়েও বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জানান, তাঁকে না জানিয়েই সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে। তিনি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে এই খবর পান। কেউ তাঁকে ফোন পর্যন্ত করেননি বলে অভিযোগ করেন।

বৈশাখীও সদস্যপদ পেতেই রণে ভঙ্গ শোভনের
তারপর শোভন-বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তালিকাভুক্ত করার পর তিনি রণে ভঙ্গ দিয়ে আবার অন্তরালে চলে গিয়েছেন। এর আগে অরবিন্দ মেননের সঙ্গে বৈাঠকের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপিতে সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন সময় হলেই। তিনি জানিয়েছিলেন কেন এত তাড়াহুড়ো!

মুকুল রায় ফেরাবেন শোভনকে, জল্পনা
তারপর ফের মাসাবধি কাল কেটে গিয়েছে, কিন্তু শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সক্রিয়তা দেখা যায়নি বিজেপিতে। এদিকে আর ৬ মাস ব্যবধানে রাজ্যে ভোট। ২০২১-এর আগে লড়াইয়ে মুকুল রায় রাজ্যে তাঁর গুরুত্ব বাড়িয়ে নিয়েছেন। তিনি সর্বভারতীয় সহসভাপতির পদ পেয়েছেন। এখন দেখার তিনি তাঁর প্রাক্তন সতীর্থকে কবে ফেরাতে পারেন সক্রিয় রাজনীতিতে।

মুকুল ভিন্ন বাংলায় ইতিহাস নৈব নৈব চ! তৃণমূল দিয়ে তৃণমূল বধের কৌশল বিজেপির