তৃণমূলে রত্না, বিজেপিতে দেবশ্রী! 'বান্ধবী' বৈশাখীকে নিয়ে গভীর ফ্যাসাদে শোভন
দুই নারীর দ্বন্দ্বের মাঝে পড়ে নাস্তানাবুদ হচ্ছেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন তৃণমূল ছেড়ে। কিন্তু দুই নারীকে নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে রেহাই আর মিলছে কই!
দুই নারীর দ্বন্দ্বের মাঝে পড়ে নাস্তানাবুদ হচ্ছেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন তৃণমূল ছেড়ে। কিন্তু দুই নারীকে নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে রেহাই আর মিলছে কই! তখন ছিলেন বৈশাখী বনাম রত্না। আর বিজেপিতে গিয়ে শোভনের নতুন সংকট দেবশ্রী বনাম বৈশাখী!
শ্যাম রাখি না কুল রাখি
শ্যাম রাখি না কুল রাখি-এখন এমনই দশা হয়েছে শোভনের। পিছনে ফেরার সব রাস্তা বন্ধ। জমাট বাঁধা অন্ধকার থেকে একটু আলোর পথযাত্রী হয়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন মমতার স্নেহের কানন ওরফে শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে গিয়েও আলোর দেখা আর পেলেন কই! সেই অন্ধকার ঘনিয়ে এল মনে!
বিজেপিতে বৈশাখী বনাম দেবশ্রী
বৈশাখী বনাম রত্নার জায়গায়, বিজেপিতে শোভন দ্বন্দ্বে পড়েছেন বৈশাখী বনাম দেবশ্রীকে নিয়ে। এই নতুন পালায় শোভন না পারছেন বিজেপির মান রাখতে, না পারছেন বৈশাখীর মন রাখতে। বৈশাখী নাছোড়বান্দা বিজেপিতে দেবশ্রীকে মেনে নিতে। বৈশাখী বলেই রেখেছেন, দেবশ্রী এক গেট দিয়ে ঢুকলে আমি অন্য গেট দিয়ে বেরিয়ে যাব।
বিজেপি দেবশ্রীকে নেবেই দলে
বিজেপি স্থির করেছে, তাঁরা দেবশ্রীকে নেবেনই দলে। তাই যে নেতা দেবশ্রীর সঙ্গে গোপন আস্তানায় যোগাযোগ রাখছেন, সেই তাঁর উপরই দায়িত্ব বর্তেছে শোভন-বৈশাখীকে বোঝানোর। তিনি শোভনকে বোঝাতে সমর্থ হলেও বৈশাখীকে বোঝাতে ব্যর্থ। বৈশাখী অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, তিনি তাঁর মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
নাই, ফেরার পথ নাই
কিন্তু শোভন পড়েছেন বিপাকে। আর তো ফেরার পথ নেই। আর রাজনীতিতে পরিপক্ক মস্তিষ্কের অধিকারী শোভন বুঝেই গিয়েছেন দেবশ্রী বিজেপিতে আসছে। এই অবস্থায় দেবশ্রীকে মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু তাহলে বৈশাখীর কী হবে? কী করবেন তিনি? শোভন পড়েছেন ফ্যাসাদে।