একদিকে প্রশান্ত কিশোরের কলকাঠি, অন্য দিকে বিজেপির এজেন্সির ভয়! শাঁখের করাতে 'বিপর্যস্ত' শোভন
নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের বিশেষ সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অবস্থা এখন শাঁখের করাতের মতো। একদিকে পিকের তাঁর জন্য তৃণমূলের দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন।
নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের বিশেষ সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অবস্থা এখন শাঁখের করাতের মতো। একদিকে পিকের তাঁর জন্য তৃণমূলের দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন। অন্যদিকে বিজেপি ছাড়লে এজেন্সির ভয় রয়েছে তাঁর।
সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে লাল পতাকা! দলের কর্মীদের উজ্জীবিত করে পরামর্শ সিপিএম নেতা গৌতম দেবের
শোভনের তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনায় হোঁচট
আপাতত শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূলের ফেরার সম্ভাবনা হোঁচট খেয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের ধারনা তা হয়েছে প্রশান্ত কিশোরের আপত্তিতে। তিনি চাইছেন না শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে ফিরুন। রত্না চট্টোপাধ্যায়কে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর থেকেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল।
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অরবিন্দ মেননের সাক্ষাৎ
সোমবার রাতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন পশ্চিমবহ্গ বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অরবিন্দ মেনন। সূত্রের খবর অনুযায়ী শোভন চট্টোপাধ্যায় দাবি ছিল তাঁকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া। পাশাপাশি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদ দেওয়া নিয়ে। তবে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখনও পদ না দেওয়ার ব্যাপারেই অনড় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপি চাইছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে।
নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত শোভন চট্টোপাধ্যায়
সূত্রের
খবর
অনুযায়ী,
বিজেপির
তরফে
শোভন
চট্টোপাধ্যায়কে
বুঝিয়ে
দেওয়া
হয়েছে
দল
ছাড়লে
কী
কী
হতে
পারে।
প্রসঙ্গ
নারদ
কাণ্ডে
অভিযুক্ত
শোভন
চট্টোপাধ্যায়,
এই
সপ্তাহেই
তৃণমূলের
যে
৫
জন
নেতানেত্রীকে
ইডির
তরফে
নোটিশ
পাঠানো
হয়েছে,
তাঁদের
মধ্যে
রয়েছেন,
কাকলি
ঘোষ
দস্তিদার,
সৌগত
রায়,
অপরূপা
পোদ্দার,
শুভেন্দু
অধিকারী
এবং
রত্না
চট্টোপাধ্যায়।
এছাড়াও
সাসপেন্ডেড
আইপিএস
এসএমএইচ
মির্জাকেও
নোটিশ
পাঠানো
হয়েছে
বলে
সূত্রের
খবর।
বিজেপিতে এখনও সক্রিয় নন শোভন
গত বছরের অগাস্টে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তারপর থেকে তাঁকে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। গত বছর পুজোর মুখে তৎকালীন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের নেতাজি ইন্ডোরের সভায় হাজির না হলেও, ভাইফোঁটায় তাঁকে দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে।