অগত্যা শোভনই কি তবে ভরসা তৃণমূলের! পুরভোটের আগে চাপ বাড়ছে শাসক শিবিরের
Sovan Chattterjeeশোভন চট্টোপাধ্যায় অপসারিত হওয়ার পর ঘটা করে মেয়র পদে বসেছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শেষ এক বছর তিনি কলকাতা পুরসভার মেয়র পদ সামলেছেন। এখন মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরবোর্ডের প্রশাসক তিনি।
শোভন চট্টোপাধ্যায় অপসারিত হওয়ার পর ঘটা করে মেয়র পদে বসেছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শেষ এক বছর তিনি কলকাতা পুরসভার মেয়র পদ সামলেছেন। এখন মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরবোর্ডের প্রশাসক তিনি। কিন্তু এরই মধ্যে ফিরহাদের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ উঠে পড়ায় ক্রমেই পাল্লা ভারী হচ্ছে শোভনের।
আজও অপেক্ষায় শোভন
সেই শোভন, যিনি ন-মাস আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। আর বিজেপিতে যোগ দিয়েও তিনি একটা দিনও গেরুয়া ধ্বজার তলায় যাননি। প্রায় ১৮ মাস ধরে তিনি অজ্ঞাতবাস পালন করে চলেছেন। তবে কি তিনি অপেক্ষা করে আছেন কবে দিদি ডাকবে। তাঁকে ডেকে কলকাতা পুরসভার ব্যাটন তাঁর হাতে তুলে দেবে!
শোভনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে!
পরিস্থিতি কিন্তু ক্রমেই সেদিকে যাচ্ছে! যেভাবে ফিরহাদ হাকিম ঘরে-বাইরে সমালোচনার শিকার হচ্ছেন, তাতে তৃণমূলে ফের শোভনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়তে পারে। শোভন যেমন বিজেপিতে যোগ দিলেও মন থেকে তৃণমূল ছেড়ে যাননি, তেমনই খাতায় কলমে শোভন বিজেপির হলেও, তৃণমূল ভাবে শোভ তাঁদেরই।
চাপ বাড়ছে ফিরহাদের
সম্প্রতি আম্ফানবিধ্বস্ত কলকাতায় পরিষেবা নিয়ে ফিরহাদের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেছেন বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। সেই সমালোচনায় আবার সামিল হয়েছেন দলেরই এক বর্ষীয়ান সদস্য তথা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। আর সাধন সরব হতেই ফিরহাদকে নিয়ে অনেকের তিক্ততা সামনে এসে গিয়েছে।
শোভন সুযোগ বুঝে আসরে
এই পরিস্থিতিতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ও ফিরহাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। এবং সগর্বে বলেছিলেন তিনি কলকাতা পুরসভার দায়িত্বে থাকলে, কোনওদিন এমনটা হত না। ফিরহাদের যোগ্যতা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন। আবার এমন কথাও তিনি জানিয়েছিলেন, সমালোচনা করলেও যেন তাঁকে শত্রু না ভাবা হয়।
গুরুদায়িত্ব তুলে নিতে তৈরি
তবে কি তিনি সত্যিই তৃণমূলে ফেরতে চাইছেন? ফের কলকাতা পুরসভার গুরুদায়িত্ব তিনি তুলে নিতে চাইছেন নিজের কাঁধে। যে দায়িত্ব ফিরহাদ ঠিকঠাক পালন করতে পারছেন না বলে তিনি নিজে মনে করছেন, মনে করছেন আরও অনেকে, তা নিয়ে জল্পনার পারদ চড়েছে, জোর চর্চাও চলছে। শোভন কিন্তু ফের নিশ্চুপ।
জটিল অঙ্ক কষা কিন্তু চলছেই
আর এর আগে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পথ তৃণমূলে পরিষ্কার করে রাওখতে শোভন-পত্নীকে পর্যন্ত দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তো খুল্লামখুল্লা বলেই দিয়েছেন শোভন তৃণমূলেরই। কিন্তু শোভন বিজেপিও ছাড়েননি, আবার সক্রিয়ও হননি। তেমনই কালীঘাটে দিদির হাতে ফোঁটা নিয়েও তিনি তৃণমূলে কামব্যাক করেননি। জটিল অঙ্ক কষা কিন্তু চলছেই!