মুকুল-দিলীপদের থোড়াই কেয়ার শোভনের! বিজেপিতে 'প্লাটফর্ম' পেতে সটান দিল্লির দরবারে
দিলীপ-মুকুল বা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়দের যে কেয়ারই করেন না শোভন, তা বুঝিয়ে দিলেন এবার। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে এড়িয়ে সটান দিল্লি উড়ে গেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
দিলীপ-মুকুল বা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়দের যে কেয়ারই করেন না শোভন, তা বুঝিয়ে দিলেন এবার। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে এড়িয়ে সটান দিল্লি উড়ে গেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। রাজনীতিতে তিনি যে পাকা খেলোয়াড়। তিনি বান্ধবী বৈশাখীকে নিয়ে অপমানিত হবেন, অধিকার বুঝে নিয়ে সোজা নাড্ডার দরজায় হাজির হচ্ছেন তিনি।
আত্মমর্যাদা খুইয়ে বিজেপিতে থাকবেন না
রাজনৈতিক মহলের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে শোভন-বৈশাখী দিল্লি পাড়ির কারণ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিজেদের অধিকার বুঝে নেওয়া। তাঁরা আত্মমর্যাদা খুইয়ে বিজেপিতে থাকবেন না, তা জানিয়েই দিয়েছেন বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে। এবার শোভন-বৈশাখী নালিশ ঠুকবেন রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।
সব ঠিক হয়ে যাবে, বার্তা রাহুলের
তবে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বে এই সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন। রাহুল সিনহা মনে করেন, এমন কোনও ঘটনা নয়। নতুন জায়গায় এলে মানিয়ে নিতে একটু সমস্যা হয়। সব ঠিক হয়ে যাবে। আর শোভনবাবুকে তো জোর করে আনা হয়নি বিজেপিতে। তিনি বিজেপিতে যোগদানের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন, আমরাও চেয়েছিলাম তাঁকে।
গুরুত্ব দিয়েই তাঁকে রাখা হবে
শোভন ছেড়ে গেলে যে বিজেপির মুখ পুড়বে তা ভালোই জানে বিজেপি নেতৃত্ব। দলবদলের ১৫ দিনের মধ্যেই শোভনের পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশের সাফাই গেয়ে রাহুল সিনহা বলেন, ছেড়ে দেওয়ার জন্য কাউকে দলে নেওয়া হয় না। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দলে নেওয়া হয়েছে, গুরুত্ব দিয়েই তাঁকে রাখা হবে।
গভীর বিপাকে পড়েছে বিজেপি
তবে বৈশাখীকে নিয়ে গভীর বিপাকে পড়েছে বিজেপি। তাঁকে না পারছে ফেলতে না পারছে রাখতে। একেবারে ছুঁচো গেলার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে শোভন-বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে। বিজেপি শোভনকে চাইলেও, বৈশাখীকে সেভাবে চাইছে না। বিজেপি মনে করছে, বৈশাখী রাজনীতিতে একেবারেই আনকোরা। এখনও পদ সামলানোর মতো অভিজ্ঞতা তাঁর কোথায়। আগে নিজেকে প্রমাণ করুন বৈশাখী, তারপর তো তিনি দলের কোনও পদে আসবেন।