ইস্তফা দিলেন শোভন! বরফ তো গললই না, আরও বেড়ে গেল তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব
দলে গুরুত্ব হারানো বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায় সক্রিক রাজনীতিতে ফেরাতে সবরকম চেষ্টা করেও শেষরক্ষা হল না। দূরত্ব কমাতে গিয়ে আরও বেড়ে গেল শোভনের এক সিদ্ধান্তে।
দলে গুরুত্ব হারানো বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায় সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরাতে সবরকম চেষ্টা করেও শেষরক্ষা হল না। দূরত্ব কমাতে গিয়ে আরও বেড়ে গেল শোভনের এক সিদ্ধান্তে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনের পরও বরফ গলল না। বিধানসভার ফিশারি স্যান্ডিং কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেনে তিনি। একইসঙ্গে বার্তা দিলেন দলকেও।
গত শনিবার স্পিকার ও শোভনের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। তখনই কথার ফাঁকে বিমানবাবু তাঁকে অনুরোধ করেন অভিমান ভুলে দলের কাজে মন দিতে। কিন্তু শোভন যে সে বান্দা নন, তা বুঝিয়ে দিলেন তিনদিনের মধ্যেই। তিনি বিধানসভা না গিয়ে মেল করে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিলেন বিধানসভায়।
গত নভেম্বরে মেয়র ও মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর থেকে বিধানসভামুখো হননি শোভন চট্টোপাধ্যায়। স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকেও যোগ দেননি তিনি। তিনি মৎস্যচাষ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান। বিধানসভার অন্যান্য সদস্যরা এই অনুপস্থিতি স্পিকারের নজরে এনেছিলেন। এরপরই স্পিকার ফোন করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, শোভনকে সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরানোর উদ্যোগ জারি রয়েছে তৃণমূলের তরফে। একদিন আগেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে এসে দেখা করে যান শোভন-বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর শোভনকে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন করা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, শোভনের মান ভাঙাতে ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এমনকী বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কাজে লাগাচ্ছে তৃণমূল।