শোভনের বিজেপিতে সক্রিয় হওয়ার জল্পনায় জল ঢালল একটা ফোন! বিভাজনে ছন্দপতন
শোভনকে বিজেপিতে সক্রিয় করতে শুক্রবার রাতভর বৈঠক করেছিলেন বিজেপির সহ পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন এবং রাজ্য সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। কিন্তু সেই বৈঠকের অদ্যাবধি পরেই ছন্দপতন হয়ে গেল। একটা ফোনেই যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে দিলেন শোভন-বৈশাখীরা। ফলে ফের শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে বিজেপিতে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল।

একটা ফোনেই সব ওলটপালট হয়ে গেল
শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে বৈঠক ইতিবাচকই ছিল বিজেপির। কিন্তু সাতসকালে একটা ফোনেই সব ওলটপালট হয়ে গেল। রবিবার দিলীপ ঘোষের উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। সেই বিজয়া সম্মিলনীতে শোভনের আমন্ত্রণ থাকলেও আমন্ত্রণ ছিল না বৈশাখীর। তাতেই সুর কেটে যায় আগের রাতের বৈঠকের।

বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি
শোভন-বৈশাখী সাফ জানিয়ে দেন, তাঁদের নিয়ে বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি। তাঁরা কেউই বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে যাবেন না। তাঁরা দুজনেই বিজেপির রাজ্য সমিতির আমন্ত্রিত সদস্য। তাঁদের একজনকে আমন্ত্রণ জানানো হল, অন্যজনকে জানানো হল না, তা মেনে নেওয়া যায় না। সেই কারণেই তাঁরা গরহাজির থাকছেন।

শোভন-বৈশাখীর মধ্যে বিভাজন করছে বিজেপি
শোভনের অভিযোগ, বিজেপির একাংশ ইচ্ছাকৃতভাবে এই বিভাজন করছে। রাজ্য বিজেপির একাংশ চায়, শোভন-বৈশাখী থাকলেও তাঁরা যৌথভাবে দলের কাজ না করেন। কিংবা একসঙ্গে সামনে না আসেন। বিভাজনের এই নীতিতেই চলছে বিজেপি। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বার্তা রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ মানতে চাইছে না।

একটা মিস কমিউনিকেশন হয়েছে, বলছে বিজেপি
বিজেপির সম্পাদক সায়ন্তন বসু এই মর্মে বলেন, কোথাও একটা মিস কমিউনিকেশন হয়েছে। তাই কোনও একজনের কাছে হয়তো আমন্ত্রণ যায়নি। আমরা ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। উভয়েই আশা করি বিজয়া সম্মিলনীতে আসবেন। এটা কোনও পার্টির কর্মসূচি নয়, একটা গেট টুগেদার, যা রাজ্য সভাপতি আয়োজন করেছেন।

দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে শোভনের পুনরুত্থান
শুক্রবার রাতে শোভন-বৈশাখীকে সক্রিয় করতে আলোচনায় বলেন অরবিন্দ মেনন ও অমিতাভ চক্রবর্তী। এই বৈঠক দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয় বলে সূত্রের খবর। মাঝে মতান্তর হওয়ায় বৈশাখী উঠে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মেনন বা অমিতাভ তাঁকে যেতে দেননি। পরে তাঁকে বোঝাতে সমর্থ হন তাঁরা। এবং বৈঠক ফলপ্রসূ হয়।