পথ হারাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস! ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না, মমতাকে উপদেশ শোভনের
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রবিবার সন্ধেয় কলকাতায় ফিরছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। নতুন দলে যোগ দেওয়ার পর কয়েকদিন কেটে গেলেও পুরনো দলের নেত্রীর প্রতি অভিমান এখনও কমেনি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রবিবার সন্ধেয় কলকাতায় ফিরেছেন প্রাক্তন মেয়র ও মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। নতুন দলে যোগ দেওয়ার পর কয়েকদিন কেটে গেলেও পুরনো দলের নেত্রীর প্রতি অভিমান এখনও কমেনি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। মোদী, অমিত শাহকে বাদ দিয়ে অনেক শীর্ষ নেতার সঙ্গেই পরিচয় হয়েছে শোভনের। তবে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের আন্তরিকতার কথা তিনি বারবার উল্লেখ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেগে ঘুমোচ্ছেন বলেও কটাক্ষ করেছেন শোভন।
'মমতার সঙ্গে ৪০ বছরের অ্যাটাচমেন্ট'
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায় উল্লেখ করেছেন, ৪০ বছরের অ্যাটাচমেন্ট ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। যে তৃণমূল তৈরির সময় থেকে তিনি যুক্ত ছিলেন, তা পথ হারাচ্ছে বলে খেদ প্রকাশ করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের হয়ে চলার পথে সম্মানে আঘাত পেয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। পাশাপাশি বিশ্বাসযোগ্যতায় ধাক্কা লাগারও অভিযোগ করেছেন তিনি।
'মমতার সঙ্গে কথা নেই ২২ নভেম্বর থেকে'
শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোনও কথা নেই ২২ নভেম্বর থেকে। প্রসঙ্গত ওই দিন তিনি কলকাতার মেয়র পদে ইস্তফা দেন। বিষয়টিতে দুর্ভাগ্যজনক বলেও মন্তব্য করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে যেসব কথা বলেছেন, তা তিনি আপাতত বলতে পারছেন না। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও দিন সেরব আবার বলা শুরু করেন, তাহলে তিনি তা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেগে ঘুমোচ্ছেন'
সংবাদ মাধ্যমের কাছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেগে ঘুমোচ্ছেন। তিনি আরও বলেছেন, কেউ যদি জেগে ঘুমোন, চোখ খুলতে না চান, তাহলে তাঁকে ঠেলা দিয়েও ওঠানো যাবে না।
'মমতাই বাড়ি ছাড়তে বলেছিলেন'
স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, অভিভাবকের মতো ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবই তাঁকে বলতেন। যার জেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁকে বাড়ি ছাড়তে বলেছিলেন বলে দাবি করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি উপদেশও রয়েছেন কাননের। তিনি বলেছেন, ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।