
তৃণমূলের সঙ্গে আত্মিক যোগ! মমতার সঙ্গে দেখা হতেই কেঁদে ফেললেন শোভন
শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বরাবর স্নেহের চোখে দেখে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিদির কাছ থেকে রাজ্য রাজনীতিতে তেমন গুরুত্বও পেয়েছেন শোভন ওরফে কানন। কানন বরাবর ছিলেন মমতা বন্যোা পাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী। সেই শোভন বা কানন কি না অভিমান করে চলে গেলেন বিজেপিতে। বিজেপিতে গিয়েও মন বসাতে পারেননি তিনি। তৃণমূলের সঙ্গে যে তাঁর আত্মিক যোগাযোগ। তাই মমতার সঙ্গে দেখা হতে আর চোখের জল বাঁধ মানল না শোভনের।

দিদিকে এতদিন পর দেখেই চোখে জল শোভনের
বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে নবান্ন গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে। দিদিকে এতদিন পর দেখেই চোখ দিয়ে জল এসে গিয়েছিল শোভনের। কোনওরকমে তা সামলে উভয়ের শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। অচিরেই বেধে যায় অভিমানের প্রাচীর। শুরু হয় দিদি-ভাইয়ের গল্প। এখনও আগের মতোই কাননকে স্নেহ করেন মমতা বন্যোুরপাধ্যায়।

বড় দিদির মতোই শোভনকে ক্ষমা করে দিয়েছেন মমতা
এক ঘণ্টা বৈঠকে রাজনৈতিক কথাবার্তা যেমন হল, হল দিদি-ভাইয়ের এতদিনের জমে থাকা কথাবার্তা। ফের আগের মতোই শোভনকে নির্দেশ দিলেন মমতা। বৈশাখী তা দেখে আপ্লুত হলেন। তিনি বলেন, মোহিত হয়ে দেখছিলাম সেই সমীকরণ। আসলে দিদি কোনওদিনই মন থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারেননি তাঁর স্নেহের কাননকে। আর শোভনও পারেনি তাঁর দিদিকে ভুলতে। একইভাবে আবার শোভনের রাজনৈতিক সত্ত্বাকেও গুরুত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা এদিন বড় দিদির মতোই শোভনকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বলেও জানান বৈশাখী।

বিজেপিতে যোগ দিয়েও দিদির ডাকে ছুটেছিলেন ভাইফোঁটা নিতে
শোভন তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে ৯ মাস অজ্ঞাতবাসে কাটিয়ে ২০১৯-এর ১৪ অগাস্ট যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। তারপর বিজেপিতে গিয়েও যথারীতি নিস্ক্রিয় থেকেছেন। তারই ফাঁকে দিদির ডাকে তিনি প্রতিবারের মতো কালীঘাটে গিয়ে ভাইফোঁটা নিয়েছেন। দিদিকে শাড়ি দিয়েছেন। দিদির কাছ থেকে উপহার নিয়েছেন।

চোখের জলেই ধুয়ে গেল সব অভিমান, দিদি সকাশে কানন
আবার পুজোর সময়েও এক অপরের মধ্যে প্রীতি উপহার আদান-প্রদান হয়েছে। শোভন দূরে সরে গেলেও দিদির মন থেকে দূরে সরেননি। রাজনৈতিকভাবে দূরে গেলেও শোভন মমতার মনে থেকে গিয়েছেন ভাইয়ের জায়গায়। দিদিকে ছেড়ে গিয়ে শোভনও ভালো ছিলেন না। অভিমানে মুখ ঘুরিয়ে ছিলেন। এদিন অভিমান ভাঙতেই বাধ মানেনি চোখের জল। সেই চোখের জলেই ধুয়ে গেল সব অভিমান। আবার দিদির উপরই ছাড়লেন তাঁর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ শোভনের
উল্লেখ্য, এদিন বৈঠকের পর তৃণমূলে ফেরা নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলে ফেরার সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ছেড়েছেন তিনি। আগের মতোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবন সর্বদাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-কেন্দ্রিক। মমতাদির ইচ্ছা বাস্তবায়িত করাই আমার কাজ। আগেও আমার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দিদিই। এখনও তাই আমার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দিদিই নেবেন। দিদি যেমন বলবেন, তেমনই হবে।
তৃণমূলেই কি ফিরছেন শেষে, সিদ্ধান্ত বরাবরের মতো মমতার উপরই ছাড়লেন স্নেহের কানন