শোভন চট্টোপাধ্যায়ের 'ঘরওয়াপসি' স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, তৃণমূলের এক ফোনে জল্পনা তুঙ্গে
শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে বিজেপিতে বিতর্কের শেষ নেই। যোগদানের দিন থেকে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা অব্যাহত আজও। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল দিল মোক্ষম চাল।
শোভন চট্টোপাধ্যায়-বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বিজেপিতে বিতর্কের শেষ নেই। যোগদানের দিন থেকে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা অব্যাহত আজও। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল দিল মোক্ষম চাল। বিশেষ সূত্রে খবর, বিজেপিতে ডামাডোলের মধ্যেই তৃণমূল শীর্ষনেতার ফোন এল শোভনের কাছে। শোভনকে দেওয়া হল আকর্ষণীয় প্রস্তাব। ফলে তাঁর বিজেপি ত্যাগের সম্ভাবনা নিয়ে ফের জল্পনা শুরু হয়ে গেল।
একমাসেই ফাটল স্পষ্ট
তৃণমূল সঙ্গে বিচ্ছেদের পর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগদানের সবে একমাস পূর্ণ হয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিনিয়তই বদল হচ্ছে পরিস্থিতির। বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় কাছে একবার ইস্তফার বার্তা দিয়ে এসেছিলেন শোভন-বৈশাখী। তারপর দিল্লিতে দরবার করে মুকুল রায়ের সঙ্গে কথাবার্তা হয়। তবুও প্রলেপ পড়েনি ক্ষতে।
মুক্ত বাতাসে অস্বস্তি
তৃণমূলে আটমাস একঘরে থেকে মুক্ত বাতাসে আসার জন্য বিজেপিতে প্রবেশ করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন বৈশাখীও। কিন্তু যোগদানের দিন থেকে দেবশ্রীকে নিয়ে বিরোধ তৈরি হয় বিজেপিতে। দেবশ্রীও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করতে অপেক্ষায় ছিলেন পাশের ঘরে। শোভন জানিয়ে দেন দেবশ্রী এলে তিনি যোগদান করবেন না।
শোভন-বৈশাখী যায় যাক, দেবশ্রীকে চাই
সেই শুরু, তারপর থেকে বিতর্ক চলছেই। দিলীপ ঘোষের সংবর্ধনা মঞ্চে শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে ডাল-ভাত রসিকতা ভালো চোখে নেননি কেউই। এরপর জয়প্রকাশ মজুমদার, জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নানা মন্তব্যে টার্গেট হয়ে যান বৈশাখী ও শোভন। সম্প্রতি জয় তো সাফ জানিয়েই দেন, শোভন-বৈশাখী যায় যাক, দেবশ্রীকে চাই।
প্রেমকে সম্মান দেয়, পরকীয়াকে নয়
একইসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, নিজের স্বামী থাকতে মাথায় সিঁদুর নিয়ে অন্যের স্বামীর সঙ্গে ঘোরা পছন্দ করে না বাঙালি। বাংলার মানুষ প্রেমকে সম্মান দেয়, পরকীয়াকে নয়। তারপরই বৈশাখী ও শোভন সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি নেতৃত্বকে কার্যত হুঁশিয়ারি দেন। এরপর থেকেই দু-পক্ষ নীরব। কেউই কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি একে-অপরের বিরুদ্ধে।
ওস্তাদের মার শেষ রাতে
এই সময়েই মোক্ষম চালটা দিল তৃণমূল। তৃণমূল শীর্ষ নেতার ফোন এল শোভনের কাছে। তবে এ ব্যাপের স্পিকটি নট শোভন। তৃণমূলও মুখে কুলুপ এঁটেছে। তা থেকেই জল্পনার পারদ চড়ছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই অবস্থায় বিজেপি থেকে শোভনকে তৃণমূলে ঘরওয়াপসি করানো মানে, বিরাট সাফল্য। বিরাট ধাক্কা দেওয়া যাবে বিজেপিকে। তৃণমূল সেই চেষ্টা যে করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।