শোভন বয়কট করলেন বিজেপির অনুষ্ঠান, বৈশাখীকে নিয়ে দিলীপ দিলেন সাফাই
শোভন বয়কট করলেন বিজেপির অনুষ্ঠান, বৈশাখীকে নিয়ে দিলীপ দিলেন সাফাই
শোভনের বিজেপিতে সক্রিয় হওয়ার বিষয়টির আর ইতি ঘটছে না কিছুতেই। অমিত শাহ থেকে অরবিন্দ মেনন বারবার প্রচেষ্টা চালালেও তার বাস্তবায়ন আর ঘটছে না। মেনন রাতভর বৈঠক করে শোভন-বৈশাখীর মানভঞ্জন করতে সমর্থ হলেও সকালের এক ফোনে ফের জটিল হল পরিস্থিতি।
দিলীপের ডাকা বিজয়া সম্মিলনী বয়কট শোভনের
ওই এক ফোনের জন্যই রবিবার দিলীপ ঘোষের ডাকা বিজয়া সম্মিলনী বয়কট করলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। শোভনের অভিযোগ, বৈশাখীকে ডাকা হয়নি ওই অনুষ্ঠানে। তাই তিনিও যাচ্ছেন না। তিনি বিজেপির অনুষ্ঠান বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিলেন। বিজেপির সঙ্গে শোভন-বৈশাখীর সম্পর্কে ফের জয় তৈরি হল।
আমন্ত্রণ ছিল না বৈশাখীর, তাই বয়কট শোভনের
শোভন-বৈশাখীর সঙ্গে মেনন-অমিতাভের বৈঠক ইতিবাচক হওয়ার পর শনিবার সাতসকালে একটা ফোনই সব ওলটপালট করে দিল। রবিবার দিলীপ ঘোষের উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। সেই বিজয়া সম্মিলনীতে শোভনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও আমন্ত্রণ ছিল না বৈশাখীর। তার ফলেই প্রতিবাদী শোভন বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেন বিজেপির বিজয়া সম্মিলনী।
বৈশাখীকে আমন্ত্রণ নিয়ে দিলীপ ঘোষের সাফাই
বৈশাখীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন বন্ধ ছিল। তাই ফোন করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। বিজেপির সম্পাদক সায়ন্তন বসু এই মর্মে বলেন, একটা মিস কমিউনিকেশন হয়েছিল। তা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি, অভিযোগ শোভনের
শোভন সাফ জানিয়ে দেন, তাঁদের নিয়ে বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি। তাঁরা কেউই বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীতে যাবেন না। তাঁরা দুজনেই বিজেপির রাজ্য সমিতির আমন্ত্রিত সদস্য। তাঁদের একজনকে আমন্ত্রণ জানানো হল, অন্যজনকে জানানো হল না, তা মেনে নেওয়া যায় না। সেই কারণেই তাঁরা গরহাজির থাকছেন।
বিজেপির একাংশ ইচ্ছাকৃতভাবে বিভাজন করছে : শোভন
শোভনের অভিযোগ, বিজেপির একাংশ ইচ্ছাকৃতভাবে এই বিভাজন করছে। রাজ্য বিজেপির একাংশ চায় শোভন-বৈশাখী থাকলেও তাঁরা যৌথভাবে দলের কাজ না করেন। কিংবা একসঙ্গে সামনে না আসেন। বিভাজনের এই নীতিতেই চলছে বিজেপি। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বার্তা রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ মানতে চাইছে না।
বৈঠক ফলপ্রসূ হলেও তাল কেটে গেল এক ফোনে
শুক্রবার রাতে শোভন-বৈশাখীকে সক্রিয় করতে আলোচনায় বলেন অরবিন্দ মেনন ও অমিতাভ চক্রবর্তী। এই বৈঠক দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয় বলে সূত্রের খবর। মাঝে মতান্তর হওয়ায় বৈশাখী উঠে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মেনন বা অমিতাভ তাঁকে যেতে দেননি। পরে তাঁকে বোঝাতে সমর্থ হন তাঁরা। এবং বৈঠক ফলপ্রসূ হয়। আর তারপরেই এক ফোনে তাল কেটে যায়।
'তৃণমূলই ঠেলে শুভেন্দুকে বিজেপিতে পাঠাচ্ছে'! কোন যুক্তিতে দিলীপ নিক্ষেপ করলেন কটাক্ষ-তির