শোভন-বৈশাখী রইলেন মুকুলের ‘দলে’ই! ২০২১ মহাসংগ্রামের আগে চড়ল জল্পনার পারদ
মুকুল তাহলে একা নন, মুকুলের দলেই রয়ে গেলেন শোভন-বৈশাখীরা। শুধু কি তাঁরাই আরও অনেক মুকুল ঘনিষ্ঠ স্থান পেলেন না বিজেপির রাজ্য কমিটিতে।
মুকুল তাহলে একা নন, মুকুলের দলেই রয়ে গেলেন শোভন-বৈশাখীরা। শুধু কি তাঁরাই আরও দু-একজন মুকুল ঘনিষ্ঠ স্থান পেলেন না বিজেপির রাজ্য কমিটিতে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপিতে এনেছিলেন যাঁদের, তাঁদের অনেকে অবশ্য ঢুকে গিয়েছেন বিজেপির 'মেন স্ট্রিমে'। হেভিওয়েটদের মধ্যে শোভনরা রয়ে গেলেন ব্রাত্যই।
আড়াই বছরেও পদ নেই মুকুলের
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন নয় নয় করে আড়াই বছর পার হয়েছে। কিন্তু বিজেপিতে এসেও তিনি কোনও সাংগঠনিক পদ পাননি। সংগঠন তৈরিতে সিদ্ধহস্ত মুকুল রায়েরই পদ নেই বিজেপিতে। তবে তিনি নির্বাচন কমিটির মাথায় আছেন বটে। নির্বাচন ফোরালেই তিনি স্রেফ বিজেপি নেতা। কেন্দ্রীয় নেতা!
শোভন-বৈশাখীও ব্রাত্য বিজেপিতে
আর মুকুলের পরই যে হেভিওয়েট তৃণমূল ছেড়ে নাম লিখিয়েছিলেন বিজেপিতে। সেই শোভনও কিন্তু ব্রাত্য বিজেপিতে। ২০২১-এর আগে বিজেপির নয়া রাজ্য কমিটি গঠন হয়েছে। সেখানে তৃণমূলত্যাগী নেতারা স্থান করে নিয়েছেন। স্থান করে নিয়েছেন সব্যসাচী দত্ত। কিন্তু স্থান হয়নি শোভনের। স্থান হয়নি বৈশাখীরও।
শোভন বিজেপির সুরে কথা বললেও...
সম্প্রতি আম্ফান-বিতর্কে ফিরহাদ হাকিমকে একহাত নিয়ে তৃণমূলের বোর্ডের সমালোচনা করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির সুরেই কথা বলেছিলেন তিনি। তবে সেইসঙ্গে তাঁর বার্তা ছিল, সমালোচনা করলেও যেন তাঁকে শত্রু ভাবা না হয়। সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বিজেপি রাখেনি কমিটিতে।
বড়সড় রদবদল ঘটিয়ে উচ্চস্থানে দলত্যাগীরা
বিজেপির সাংগঠনিক রদবদলে পোয়াবারো দলত্যাগীদের। তৃণমূল-সিপিএম-কংগ্রেস ছেড়ে আসা নেতাদেরই ভিড় দেখা দিয়েছে। ২০২১-এর লক্ষ্যে এই পদক্ষেপে বঙ্গ বিজেপি বড়সড় রদবদল ঘটিয়ে উচ্চস্থান দেওয়া হল দলত্যাগীদের। করোনা লকডাউনের মধ্যেই একুশের বিধানসভা বিধানসভা ভোটের ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিল বিজেপি। তৃণমূলত্যাগী নেতারা পেলেন গুরুদায়িত্ব। কংগ্রেস-সিপিএম ত্যাগীরাও মর্যাদা পেলেন।
তৃণমূল ছেড়ে যাঁরা উচ্চ পদ পেলেন বিজেপিতে
মুকুল ঘনিষ্ঠ বিধানগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত বিজেপিতে যোগ দিয়ে পেলেন সম্পাদক পদ। অর্জুন সিং হলেন সহ সভাপতি। সৌমিত্র খাঁ হয়েছেন যুব মোর্চার সভাপতি। আর একুশের বিধানসভার আগে সাংগঠনিক রদবদলে প্রোমোশন হল লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর পদ ছেড়ে হলেন সাধারণ সম্পাদক। উল্লেখ্য, লকেটও একটা সময়ে তৃণমূলে ছিলেন। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ভারতী ঘোষও পেয়েছেন সহ সভাপতির পদ।
সিপিএম-কংগ্রসত্যাগীরাও পেলেন গুরুত্বপূর্ণ পদ
সিপিএম ছেড়ে আসা মাফুজা খাতুনকে সহ সভাপতি করা হয়েছে বিজেপির। আর এক সিপিএম ত্যাগী নেতা খগেন মুর্মুকে করা হয়েছে এসটি মোর্চার সভাপতি। আর এসসি মোর্চার সভাপতি করা হয়েছে কংগ্রেস ছেড়ে আসা দুলাল বরকে।