শোভন কি ফের মুখ ফিরিয়ে নিলেন বিজেপি থেকে, তাল কাটল একুশে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে
এবার নয় নেভার। তৃণমূলের স্লোগানই বেদবাক্য করে এগোচ্ছে বিজেপি। কিন্তু তা করতে গিয়ে বারেবারে তাল কেটে যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। বিজেপিতে সক্রিয় হওয়া পর আবার গোঁসা হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের।
এবার নয় নেভার। তৃণমূলের স্লোগানই বেদবাক্য করে এগোচ্ছে বিজেপি। কিন্তু তা করতে গিয়ে বারেবারে তাল কেটে যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের। বিজেপিতে সক্রিয় হওয়া পর আবার গোঁসা হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। সপ্তাহভর শেভন আর বান্ধবী বৈশীখেকে দেখা যাচ্ছে না দলের কোনও মিটিং-মিছিলে। আবারও কি অন্তরালে তাঁরা?
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের উপর ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্ব
শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্ব। কেন পারিবারিক কেচ্ছা, বিবাহবিচ্ছেদ প্রসঙ্গ এবং প্রেমের সম্পর্ক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জায়গা পাচ্ছে? সেই কারণেই শোভন-বৈশাখীর উপর ক্ষুণ্ণ বঙ্গ বিজেপি। ক্ষুণ্ণ আরএসএসও। তাই তাঁদের কড়া বার্তা পাঠানো হয়েছে বলেই বিশেষ সূত্রের খবর।
রাজ্য বিজেপির অনুশাসনে শোভনকে কড়া বার্তা
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নির্দিষ্ট কিছু নেতার মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন, দলীয় কর্মসূচিতে পারিবারিক কেচ্ছা বা বিবাদবিচ্ছেদের প্রসঙ্গ তোলা যাবে না। কেননা এর ফলে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছচ্ছে। সম্প্রতি দেবশ্রী রায় সম্বন্ধে শোভনের কিছু মন্তব্যের পর মানহানির মামলা হয়েছে। তারপর শোভন মহেশতলায় বিজেপির রোড শো থেকে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক নিশানা করেন তাঁর শ্বশুরমশাই তথা মহেশতলার বিধায়ক দুলাল দাসকে। স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কেও কড়া আক্রমণ শানান।
শোভনের অবস্থান বিজেপির বিপক্ষেই গিয়েছে
বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে, শোভনের মন্তব্য সমীচিন ছিল না। ওই মন্তব্যের পর শোভনকে উদ্দেশ্য করে তৃণমূল যেভাবে আক্রমণের পথে গিয়েছে, তা বিজেপির বিপক্ষেই গিয়েছে। শোভনের ভাবমূর্তিও কলুষিত হয়েছে। তৃণমূল জানিয়েছে, যে নিজেরে স্ত্রী, সন্তান, পরিবারের কাছে আপন হতে পারে না, সে কী করে বাংলাকে আপন করতে পারবে, সে কী করে জনপ্রিয় নেতা হতে পারে!
শোভন বারবার সেমসাইড গোল খেয়ে দলকে ডোবাচ্ছেন
শোভনকে সম্প্রতি কলকতা জোনের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। বিজেপি অনেক চেষ্টা করে শোভনকে ১৭ মাস পরে রাজনৈতিক ময়দানে নামাতে সমর্থ হয়। কেননা কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভরসাযোগ্য কোনও নেতা নেই, যে দলের কাণ্ডারি হয়ে উঠতে পারে। তাই শোভন ছাড়া তাঁদের কাছে ভিন্ন কোনও পথ ছিল না। কিন্তু শোভন বারবার সেমসাইড গোল খেয়ে দলকে ডোবাচ্ছেন।
রাজনৈতিক মঞ্চে পারিবারিক কেচ্ছা নয়,শোভনকে বার্তা
পরিবার নিয়ে খোঁচা দেওয়ার পর বিজেপির মঞ্চ থেকে দেবশ্রীকে পাল্টা দেন শোভন। বলেন, উনি সন্তানের মা নন। আর ওঁর সংসারের কী পরিণতি সেটা যেন উনি মানুষকে জানান। এমনকী দেবশ্রীকে নিশানা ডাইনি বলেও কটাক্ষ করেন শোভন। বলেন মায়ের থেকে মাসির দরদ বেশি। এরপরই শোভনকে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে পারিবারিক কেচ্ছা এড়িয়ে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়।
একুশের নির্বাচনে বিপদ বাড়বে বিজেপির, জল্পনা
বিজেপি মনে করছে, শোভন এমনই বার্তা দিচ্ছেন তৃণমূল সমালোচনা করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। তাই দলের ভবামূর্তি নষ্ট হয়, এমন মন্তব্য না করাই বাঞ্ছনীয়। দলের তরফে এই বার্তা আসার পরই শোভন নিজেকে ফের গুটিয়ে নিয়েছেন। বিজেপির মিটিং-মিছিলে বের হচ্ছেন না। এখন আশঙ্কা, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি আবার পুরো নাটকের অবতারণা করেন কি না। তাহলেই বিপদ বাড়বে বিজেপির।