দু-নৌকায় পা দিয়ে চলছেন শোভন-বৈশাখী! রত্নাকে মেসেজে দিদি ক্ষুব্ধ, তাই কি মেনন-শরণ!
ভাইফোঁটায় দিদির বাড়িতে যাওয়ার পর শোভনের তৃণমূলের ফেরা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা ছিল। সেই সুযোগ মাটি হয়েছে এক মেসেজ-রহস্যে। রত্নাকে নাকি মেসে করেছেন শোভন। তা দেখে ক্ষুব্ধ দিদি।
ভাইফোঁটায় দিদির বাড়িতে যাওয়ার পর শোভনের তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা ছিল। সেই সুযোগ মাটি হয়েছে এক মেসেজ-রহস্যে। রত্নাকে নাকি মেসে করেছেন শোভন। তা দেখে ক্ষুব্ধ দিদি। তাই শোভনের তৃণমূল যাত্রাও অনিশ্চিত হযে পড়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা এই অনিশ্চয়তার দোলাচলেই শোভন এখন মেননের সাক্ষাতে ছুটেছেন।
শোভনকে নিয়ে জল্পনার পারদ অন্য খাতে
বিজেপির কো-অবজার্ভার অরবিন্দ মেনন অসুস্থ। তিনি কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি। শোভন ও বৈশাখী তাঁকে দেখতে যান সম্প্রতি। তারপর থেকেই শোভনকে নিয়ে জল্পনার পারদ অন্য খাতে বইতে শুরু করে। কেন শোভন-বৈশাখী হঠাৎ মেননের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন, তা নিয়েই চর্চা শুরু হয়েছে।
রত্নার ফোনে শোভনের ফোন থেকে মেসেজ
শোভন-বৈশাখী প্রায় আধঘণ্টা ছিলেন মেননের কেবিনে। শোভন ঘনিষ্ঠরা এই ঘটনাকে সৌজন্ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। একটা বড় অংশ এই ঘটনাকে শোভন-বৈশাখীর দু-নৌকায় পা দিয়ে চলা বলে মনে করছেন। রত্নার ফোনে শোভনের ফোন থেকে মেসেজ যাওয়ায় দিদি অখুশি হয়েছেন বলেই সোভন ফের অন্য পন্থা নিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
রত্নাকে সেই মেসেজ
উল্লেখ্য, ভাইফোঁটার দিনই দিদির বাড়িতে যাওয়ার পর রত্নার ফোনে একটি মেসেজ আসে। সেই মেসেজে লেখা- সত্যের জয় হল। এবার তো মিউচুয়াল ডিভোর্স দাও। বৈশাখীর সম্মানের জন্য লড়ে জিতলাম তো। এরপর মেসেজে কথা কাটাকাটিও হয় শোভন-রত্নার। সেই মেসেজ দিদিকে দেখানোর পরই অন্য ধারায় বইতে থাকে শোভনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা। যদিও ওই মেসেজ শোভন করেননি বলে সাফ জানিয়ে দেন।
বিজেপি সম্পর্কে মতপ্রকাশ বৈশাখীর
যদিও বৈশাখী আগেই বিজেপি সম্পর্কে মতপ্রকাশ করেন। বৈশাখী বলেন, শোভনবাবু বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। উনি চেয়েছিলেন আমিও সক্রিয় রাজনীতিতে থাকি। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই পদে পদে অপমানিত হচ্ছি। বিজেপির সঙ্গে এই মুহূ্র্তে আমাদের কোনও যোগ নেই। তবে এই কথা বলার পরদিনই তাঁরা উভয়েই ফের বিজেপির পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননকে দেখতে যান।
বৈশাখীর মন্তব্যের পর পাল্টা দিলীপের
বিজেপিতে তাঁদের অবস্থান জানিয়ে বৈশাখীর মন্তব্যের পর দিলীপ ঘোষ বলেন, প্রথম দিন থেকেই বিজেপির সঙ্গে বিশেষ ঘনিষ্ঠতা ছিল না। একেবারেই নিজস্ব সমস্যা। প্রত্যেকেরই তা থাকে। কেউ তো আর বাচ্চা ছেলে নয়। তাই তাঁদের ললিপপ দিয়েও নিয়ে আসিনি আমরা। সবাই আমাদের কাছে সম্মানীয়। যিনি থাকতে চাইবেন, তিনি থাকবেন।
শোভন-বৈশাখীর সম্পর্ক তৈরি হয়নি বিজেপির সঙ্গে! বৈশাখীর পর দিলীপ-ভাষ্যে জল্পনা
শোভন-বৈশাখী আজ তৃণমূলে তো, কাল বিজেপিতে! আচমকাই তাঁদের মেনন-সাক্ষাতে জল্পনা