বিজেপিতে ‘আবর্জনা’, অশিষ্ট, পারভার্টেড লোকের ভিড়! ইস্তফার জল্পনায় শোভন-বৈশাখী
বিজেপিতে দুঃখের দিন ঘুঁচছে না বৈশাখী-শোভনের! চূড়ান্ত অপমানিত হয়ে তাই ফের আক্রমণের রাস্তায় হাঁটলেন তাঁরা। বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন, একই সঙ্গে দলকেও দিলেন বার্তা।
বিজেপিতে দুঃখের দিন ঘুঁচছে না বৈশাখী-শোভনের! চূড়ান্ত অপমানিত হয়ে তাই ফের আক্রমণের রাস্তায় হাঁটলেন তাঁরা। বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন, একই সঙ্গে দলকেও দিলেন বার্তা। ফের ইস্তফার জল্পনা উসকে তাঁরা জানিয়ে দিলেন বিজেপিতে প্রচুর অশিষ্ট লোক রয়েছে। এত শিষ্টাটারের অভাব পুরনো দলে ছিল না।
বানরের হাতে তলোয়ার
এদিন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে অশিষ্ট লোক এবং একজন ‘পারভার্টেড' বলেও মন্তব্য করেন বৈশাখী। জয়কে নিশানা করে তিনি বলেন এত নিম্নরুচির লোক আগে দেখিনি। জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে করুণা হচ্ছিল। শোভন তো এক ধাপ এগিয়ে বলেন, বানরের হাতে তলোয়ার পড়লে যা হয়, সেটাই করে দেখাচ্ছেন জয়।
আবর্জনা তো আর শুধু রাস্তায় থাকে না
আবার বৈশাখীর কথায়, আবর্জনা তো আর শুধু রাস্তায় থাকে না। আবর্জনা থাকে মানুষের মনেও। যেমন বিজেপির ওই নেতা। যিনি নিজের স্ত্রীর সম্বন্ধেও অনেক বাজে বাজে কথা বলেন। নিজের স্ত্রীকেই যিনি সম্মান দিতে পারেন না, তিনি আবার অন্য মহিলাদের সম্মান দেবেন কী করে।
দিলীপ-মেননের কাছে নালিশ
এ বিষয়ে তিনি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিজেপির সহকারী পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননের কাছে নালিশও করেছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন, এ ধরনের মন্তব্যকে কীভাবে দেখছে দল। এটা কি ওনার ব্যক্তিগত মন্তব্য, নাকি দলও এর সঙ্গে সহমত। তা বুঝেই তাঁরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
পুরনো দলে অনেক শিষ্টাচার
বৈশাখী বলেন, নিজের দলেই আমরা অসম্মানিত। আমরা তো ভেবেছিলাম বিরোধীরা আমাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের কুৎসা করবে। বরং দেখেছি, তাঁরা অনেক শিষ্টাচার দেখিয়েছেন। এখন তো দেখছি এই দলেই অশিষ্ট লোকজন বেশি। এরপর আমরা বিরোধীদের বিপক্ষে কথা বলব কী করে!
পুরনো দলে এ জিনিস ছিল না
তাঁর কথায়, পুরনো দলেও বিতর্ক ছিল, বিরোধিতা ছিল। কিন্তু এ ধরনের ব্যক্তিগত আক্রমণ ছিল না। আর ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকলেও তা শীর্ষ নেতৃত্ব চটজলদি ব্যবস্থা নিয়েছেন। ভুল করলে বকেছেন, সাবধান করেছেন। কিন্তু অন্যভাবে বলা হয়েছে। আলাদা করে ডেকে ভুল ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ
কিন্তু জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই ধরনের অশিষ্ট মন্তব্যের পর আমরা এমন কোনও ব্যবহার পাইনি আমাদের বর্তমান দলের কাছ থেকে। আমরা দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি। হয়তো দু-একদিনের মধ্যেই আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
কী বলেছিলেন জয়
রবিবার জয় বলেন, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতিতে আনকোরা। রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি দেবশ্রী রায়কে দলে নিন। বাংলা প্রেমের জায়গা, কিন্তু পরকীয়ার জায়গা নয়। নিজের স্বামী থাকতে পরের স্বামীকে নিয়ে তিনি ঘুরে বেড়াবেন, বাংলা তা মেনে নেবে না। আমি দেবশ্রী রায়কে দলে চাই, তাতে শোভন-বৈশাখী যায় যাক।