দিল্লির দরবারে বসেই রইলেন শোভন-বৈশাখী! বৈঠক তো হল বাংলার মুকুলের সঙ্গে
দিল্লির দরবার থেকে ব্যর্থ মনোরথ হয়ে কলকাতায় ফিরেই ইউ টার্ন নিয়েছেন শোভন-বৈশাখী। তাঁদের নয়া দাবিই বলে দিচ্ছে, দিল্লিতে দরবার করে তাঁরা হালে পানি পাননি।
দিল্লির দরবার থেকে ব্যর্থ মনোরথ হয়ে কলকাতায় ফিরেই ইউ টার্ন নিয়েছেন শোভন-বৈশাখী। তাঁদের নয়া দাবিই বলে দিচ্ছে, দিল্লিতে দরবার করে তাঁরা হালে পানি পাননি। সেই তো বৈঠক করতে হয়েছে বাংলার মুকুল রায়ের সঙ্গে। তাহলে আর দিল্লিতে ছুটে গিয়ে হল কী! মুকুল যেন তাঁদের কলকাতায় ফেরাতেই গেলেন!
দেখি কী হয়!
দিল্লিতে মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সব মিটে গিয়েছে বলে দাবি করেছিলেন শোভনরা। কিন্তু কলকাতায় নেমেই বেসুরো গাইতে শুরু করেন তাঁরা। একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বলেন, আমরা আমাদের অভিযোগ জানিয়েছি। দেখি কী হয়!
হালে পানি না পেয়ে
রাজ্য বিজেপির সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় শোভন-বৈশাখী কৈলাস বিজয়বর্গীয় বাড়িতে গিয়ে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ করে আসেন। তারপর হালে পানি না পেয়ে তাঁরা ছোটেন দিল্লির দরবারে। সেখানে কেন্দ্রীয় কোনও নেতার সাক্ষাৎ পাননি। শেষপর্যন্ত বাংলা থেকে ছুটে গিয়ে মুকুলই তাঁদের ফিরিয়ে আনেন।
যা শোনার শুনবেন তাঁরাই
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে তাহলে দুদিন আগে শোভন-বৈশাখী দিল্লিতে গিয়ে করলেনটা কী! একজনও কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়নি। অভিযোগ জানাতে হয় সেই মুকুল রায়ের কাছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা বুঝিয়ে দেয়, এখন মুকুল রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়রাই তোমাদের অভিভাবক। যা শোনার শুনবেন তাঁরাই।
মুকুল রায়ের চায়ে পে চর্চাতেই
তাই বাধ্য হয়ে মুকুল রায়ের চায়ে পে চর্চাতেই তাঁর কাছে অভিযোগ জানান শোভন-বৈশাখী। শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যে বিজেপির কিছু ব্যবহার আমাদের ভালো লাগেনি। তারপর বলেন, আমাদের মধ্যে কিছু সমস্যা হয়েছিল, তা মিটে গিয়েছে। কিন্তু শোভন কলকাতায় ফিরে বলেন, অভিযোগ জানিয়েছি মাত্র।
রাজ্য বিজেপির সঙ্গে মতান্তর
বৈশাখী আবার এক ধাপ এগিয়ে বলেন, কাগজে আমাদের বিজেপি ছাড়া নিয়ে নানা কথা লেখা হয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে, সেসবই মিথ্যা। আমরা বিজেপিতেই আছি। এরপর শোভন-বৈশাখী আবার বেমালুম অন্য কথা বললেন কলকাতায় নেমে। তাঁরা ফের জিইয়ে রাখলেন রাজ্য বিজেপির সঙ্গে তাঁদের মতান্তর।