৬ মাসেই সাঙ্গ মোদীর অনুপ্রেরণা! হুমায়ূনের পথ ধরলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রভাবশালী নেতা
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিজেপির অন্দরেই বিরোধিতা। যার জেরে দল ছাড়ার কথা জানিয়েদিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাপরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজুদ্দিন মিয়া।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিজেপির অন্দরেই বিরোধিতা। যার জেরে দল ছাড়ার কথা জানিয়েদিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাপরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজুদ্দিন মিয়া। এর আগে মুর্শিদাবাদের হুমায়ুন কবীর দল ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন। তবে সদ্য বিজেপি ত্যাগী এইসব নেতারা কোন দলে যাচ্ছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
৬ মাস আগে বিজেপিতে যোগ
বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে অর্পিতা ঘোষের হারের পরেই তৃণমূলের জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বিপ্লব মিত্রকে। এরপ ২৪ জুন দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বিপ্লব মিত্র। সঙ্গে ছিলেন জেলাপরিষদের পদাধিকারীরাও। তেই তালিকায় ছিলেন জেলাপরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজুদ্দিন মিয়াও।
সবকা সাথ, সবকা বিকাশে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন
জেলাপরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজুদ্দিন মিয়া জানিয়েছেন, তিনি সবকা সাথ, সবকা বিকাশে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। সেই জন্যই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
সিএবি বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে
মফিজুদ্দিন মিয়া জানিয়েছেন, সিএবি করে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে বিজেপি। সেই জন্যই বিজেপি ত্যাগ। তবে তিনি পুরনো দলেই ফিরে যাবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট করেননি। আপাতত নির্দল হিসেবেই কাজ করার ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন তিনি। তাঁর মতে মানুষকে রুটিরুজি, জীবিকা নিয়ে চিন্তা না করে এখন নাগরিকত্ব নিয়ে ভাবতে হচ্ছে।
বিরোধ বিজেপিতেই
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিরোধ বিজেপিতেই। মুর্শিদাবাদের বিজেপি নেতা হুমায়ুন কবীরের পর দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মফিজুদ্দিন মিয়া দল ছাড়ায় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। যদি বিজেপির জেলা নেতৃত্ব মনে করছে, বিজেপি কী কিংবা সিএবি কী তা সম্পূর্ণভাবে না জেনেই নেতারা দলত্যাগ করছেন। এঁদের দলবদলে বিজেপিতে কোনও প্রভাব পড়বে না, মনে করছে জেলা নেতৃত্ব।