অনুব্রতর মশারি দিয়ে ২০ 'মাছি' গলে গেল বীরভূমে! হাইকোর্টে জিতে চ্যালেঞ্জ সিপিএম-এর
বীরভূমে জেলা পরিষদে সরাসরি মনোনয়ন জমা দিতে না পারলেও, ই-মেলে ২০ আসনে মনোনয়ন দাখিল করছে সিপিএম। সূত্রের মাধ্যমে এমনটাই জানা গিয়েছে। ফলে মনোনয়ন ত্রুটিপূর্ণ না হলে জেলা পরিষদের কুড়িটি আসনে নির্বাচন
বীরভূমে জেলা পরিষদে সরাসরি মনোনয়ন জমা দিতে না পারলেও, ই-মেলে ২০ আসনে মনোনয়ন দাখিল করছে সিপিএম। সূত্রের মাধ্যমে এমনটাই জানা গিয়েছে। ফলে মনোনয়ন ত্রুটিপূর্ণ না হলে জেলা পরিষদের কুড়িটি আসনে নির্বাচনের সম্ভাবনা।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বীরভূম জেলা পরিষদে তৃণমূলের একশো শতাংশ আসন জেতায় অন্তরায় তৈরি হল। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
সিউড়ির এসডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ে দিনের পর দিন সন্ত্রাসের অভিযোগ করে গিয়েছে বিরোধীরা। যদিও তাতে কোনওরকম মান্যতা দেয়নি প্রশাসন এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে ভিতরে ভিতরে ২০ টি আসনে ইমেলে মনোনয়ন দাখিল করে রেখেছিল সিপিএম।
বিরোধীরা সরাসরি মনোনয়ন পেশ করতে না পারায় বীরভূম জেলা পরিষদে ৪২ টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। সবাই এটাই ধরে নিয়েছিলেন। অন্যদিকে, ১৯ টি পঞ্চায়েত সমিতির ১৬ টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় রাজ্যের শাসকদল। আর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬৭ টির মধ্যে ১৪০ টিতে জয়ী হয় তারা। এটাকেই ফাইনাল হিসেবে ধরে নিয়েছিল শাসক দল। এমন কী একাজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ম্যান অফ দ্য ম্যাচ বলেন অনুব্রত। কিন্তু মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায়ের জেরে তৃণমূলের রেকর্ডে বাধা তৈরি হল। মনে করছেন জেলার রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
তবে মনোনয়ন পেশের সময়ের মতো ভোটের দিন রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেছেন, ভোট দিতে গেলেও মানুষ দেখবেন, রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে। তবে বয়স্ক যাঁরা ভোট দিতে পারবেন না, তাঁরা অন্যদের বলবেন, ভোট টা দিয়ে দাও। তারাই ভোট দিয়ে দেবে। অনুব্রত মণ্ডলের এই ঘোষণায় হাইকোর্টের রায়ে কোনও বাধা তৈরি হয় কিনা এখন সেটাই দেখার।