শ্বাসরোধ করে, কুপিয়ে রেললাইনে ফেলা হয় সৌরভ চৌধুরীকে
পলি মাইতি মূল অভিযুক্ত শ্যামল কর্মকারের দিদি। সে ছাড়াও শ্যামল কর্মকারের আরও চারজন শাগরেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার রাতে তারা ন'জন ছিল। স্থানীয় একটি পেরেক কারখানার কাছে সবাই মদ খায়। তার পর সৌরভ চৌধুরীকে ধরে নিয়ে আসে দত্তপুকুর ও বামনগাছির মাঝে তিন নম্বর লেভেল ক্রসিংয়ে। সেখানে সৌরভের পরনের গেঞ্জি খুলে নেওয়া হয়। তার পর চলে সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ড। তিন-তিনটি ট্রেন যখন সৌরভের দেহের ওপর দিয়ে চলে যায়, তখন নিশ্চিন্ত মনে খুনিরা এসে জোটে রামকৃষ্ণপল্লিতে পলি মাইতির বাড়ি। সৌরভ চৌধুরীকে খুন করা হবে, এই খবর আগে থেকেই ওই মহিলার কাছে ছিল। তাই মুরগির মাংস, ভাত রান্না করা হয়। রাতে সেই খাবার আয়েশ করে খায় খুনিরা। ভোরে সবাই গা-ঢাকা দেয়। শনিবার দুপুরে পরিস্থিতি তেতে উঠলে গা ঢাকা দেয় পলি মাইতিও। ধৃতদের জেরা করে শ্যামল কর্মকারের কয়েকটি গোপন ঠেকের কথা জানতে পেরেছে পুলিশ। তাই পুলিশকর্তাদের আশা, খুব শীঘ্র ধরা পড়বে শ্যামল কর্মকার।
এদিকে, পুরো ঘটনায় দত্তপুকুর থানার আইসি-কে 'বলির পাঁঠা' করা হবে বলে খবর। কারণ শাসক দলের প্রভাবশালী নেতারাই ওই অফিসারকে কাজ করতে দেননি বলে অভিযোগ। অথচ এখন সৌরভ চৌধুরীর খুনের ঘটনায় রাজ্য সরকার তোপের মুখে পড়ায় সংশ্লিষ্ট অফিসারের ওপর কোপ পড়তে চলেছে।