অবশেষে গ্রেফতার সৌরভ চৌধুরী খুনের মূল অভিযুক্ত শ্যামল কর্মকার
শুক্রবার রাতে শ্যামল কর্মকার ও তার শাগরেদরা তুলে নিয়ে যায় প্রতিবাদী যুবক শ্যামল চৌধুরিকে। শনিবার সকালে দত্তপুকুর ও বামনগাছি স্টেশনের মাঝখানে পাওয়া যায় সৌরভের ছিন্নভিন্ন দেহ। দুষ্কৃতীরা সৌরভের দেহ ন'টুকরো করে রেল লাইনে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল। সোমবার এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অনুপ তালুকদার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শ্যামল কর্মকার গা ঢাকা দেয়। সোমবার থেকেই কোনও খোঁজ মিলছিল না শ্যামল কর্মকারের।
আগেই এই ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু সৌরভ খুনের পর ৪৮ ঘন্টা কেটে গেলেও মূল অভিযুক্ত শ্যামল কর্মকারকে গ্রেফতার করতে না পারায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন মহলে৷ পুলিশের অবশ্য দাবি, মূল অভিযুক্ত শ্যামল কর্মকারকে গ্রেফতার করতে প্রথম থেকেই তারা সচেষ্ট ছিল। কিন্তু কোনও ভাবে নাগালে পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গোপনসূত্রে তারা খবর পায় সৌরভ চৌধুরীকে খুনের পর তারাপীঠে গিয়ে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে শ্যামল। কিন্তু, সেখানে গিয়ে তল্লাশি চালিয়েও তাঁর কোনও খোঁজ পায়নি পুলিশ। পরে ধৃত উত্তমকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, শ্যামল কর্মকার রামপুরহাটে রয়েছেন। ট্রেনে করে অন্য কোথাও পালানোর চেষ্টা করছে সে। সেই মতো, গতকাল রাতে রামপুরহাট স্টেশনে পৌঁছয় উত্তর ২৪ পরগনা পুলিশের একটি দল এবং সেখান থেকেই শ্যামল কর্মকারকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।