একজন ‘গুন্ডা’, আর একজন ‘ছিঁচকে মস্তান’! মুকুল-দিলীপকে নিশানা তৃণমূল নেতার
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও তৃণমূলত্যাগী বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে মস্তান বলে আক্রমণ করলেন এক তৃণমূল নেতা। বীরভূমের পর জলপাইগুড়িতেও ফিরল বাজে কথার রাজনীতি
ফের বাজে কথার রাজনীতি ফিরল বাংলায়। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও তৃণমূলত্যাগী বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে মস্তান বলে আক্রমণ করল তৃণমূল। বীরভূমের পর জলপাইগুড়িতেও ফিরল বাজে কথার রাজনীতি। অনুব্রত মণ্ডলের পর জলপাইগুড়়ির জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী এবার এই বাজে কথার রাজনীতির স্রষ্টা।
[আরও পড়ুন:'বেইমান' মুকুল অচিরেই ঝরে যাবে, তৃণমূলের অনুব্রত ছুড়লেন পাল্টা চ্যালেঞ্জ]
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য সভায় সাফ বলেছিলেন, তিনি দলের মধ্যে বাজে কথার রাজনীতি বরদাস্ত করবেন না। অনুব্রত মণ্ডলকে সরাসরি সতর্ক করেছিলেন। ধমক দিয়েছিলেন। তারপর তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসেই জলপাইগুড়িতে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী।
সম্প্রতি জলপাইগুড়িতে মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষ-রা বিজেপির জনজাগরণ যাত্রায় অংশ নেওয়ার পর তাঁদের সফরকালেই তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এই ভাঙনের পর তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে সৌরভ চক্রবর্তী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, 'পঞ্চায়েতে কোনও সুবিধা করতে পারবে না বিজেপি। তৃণমূল এই জেলায় বিজেপি শূন্য করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে।' সেই উদ্দেশ্যেই ৮ জানুয়ারি ময়নাগুড়ি চলোর ডাক দিয়েছেন সৌরভবাবু।
শুধু জেলা থেকে বিজেপি শূন্য করার ডাক দেওয়াই নয়, এদিন দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়কে আক্রমণ করেন সৌরভ। তিনি বলেন, 'বিজেপি বাইরে থেকে লোক এনে ময়নাগুড়ির তৃণমূল পার্টি অফিসে হামলা করে। অস্ত্র নিয়ে বিজেপির নেতারা এখানে আসছেন, সঙ্গে নিয়ে আসছেন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের। মারপিটের কালচার নিয়ে তারা এই জেলায় আসছেন। জলপাইগুড়ির এই মারপিটের রাজনীতিতে বিশ্বাস নেই।'
এ প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, 'দিলীপ ঘোষ আসলে একটা গুন্ডা। আর তারসঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে একটা ছিঁচকে মস্তান। দুই মস্তানে মিলে জেলায় এসে ছড়ি ঘোরাচ্ছে। আমরা এই সংস্কৃতির বিরোধী। তাই গণতান্ত্রিক পথে এই হামলার মোকাবিলা করব। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা বিজেপিশূন্য করাই আমাদের লক্ষ্য। এ বছরই ওরা টের পাবে কত ধানে কত চাল।'
বিজেপির দাবি,'মুকুল রায়ের জেলা সফরে বহু তৃণমূল নেতা-নেত্রী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের সংগঠনে বিজেপি ভাঙন ধরাতে সমর্থ হয়েছে বলেই এখন বাজে কথাকে আশ্রয় করে আক্রমণ চালাচ্ছেন মুকুল রায়-দিলীপ ঘোষদের।'