সুজাতাকে ডিভোর্সের নোটিস সৌমিত্রর ! আবেগঘন সৌমিত্রর কণ্ঠে বিস্ফোরক বার্তা
বিজেপির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে এদিন তৃণমূলে যোগ দেন সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ। এদিন বহুবার তাঁর পারিবারিক পরিস্থিতি থেকে দল বদল ঘিরে নানার প্রশ্ন করা হয়। স্বামী যেখানে বিজেপি সাংসদ , সেখানে স্ত্রীয়ের তৃণমূলে যোগ নিয়ে বাংলার রাজনীতির পারদ এদিন চড়িয়ে দেন সুজাতা। এরপরই সুজাতাকে ডিভোর্সের নোটিস পাঠিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন সৌমিত্র খাঁ।


'অভিষেকের জিভ কেটে রাস্তার কুকুরকে খাওয়াব'
সৌমিত্র খাঁ বলেন যেদিন সুজাতার বাড়ির বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়, সেদিন সুজাতা বলেন, 'অভিষেকের জিভ কেটে রাস্তার কুকুরকে খাওয়াব'। সেই অভিষেকের নেতৃত্বে এদিন সুজাতা যাওয়ার ঘটনা মেনে নিতে পারেননি বলে জানান সৌমিত্র।

প্রেম পর্বের শুরুর কথা , আবেগ প্রবণ সৌমিত্র
সৌমিত্র বলেন ,২১ নভেম্বর নভেম্বর প্রেম পর্ব শুরু হয়। একসঙ্গে থাকার পর অেনেক ঝড় পার করে এসেছি। রাজনীতির উর্ধে অনেক কিছু থাকে। অভিষেকের কৃত কর্মের বিরোধিতা করেছিলাম।

৪-৫ মাস সংঘাত ছিল!
সৌমিত্র বলেন, সুজাতা মণ্ডল খাঁয়ের সঙ্গে গত ৪ থেকে ৫ মাস ঝগড়া চলছিল। বিজেপি অনেক বড় জায়গা আমায় দিয়েছে। দল লড়াই করার জায়গা দিয়েছে। কেউ সঙ্গে ছিল না। এরপর সুজাতাকে উদ্দেশ্য কর তিনি বলেন, তুমি ছিলে। আজ পর্যন্ত কোনও মহিলার সঙ্গে একদিনও কাটাইনি। না জানিয়ে প্রতি মাসে ৭০ হাজার টাকা দিতাম। যাতে তোমার কষ্ট না হয়। তোমার চাকরি চলে গিয়েছে বলেই আমি এটা করতাম। যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চাকরি গেছিল। আজ তুমি তাঁরই পক্ষে।

'তোমার যেন কষ্ট না হয়'
সৌমিত্র সুজাতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন তোমার যেন কষ্ট না হয়। যেন চাইতে না হয় টাকা। তার জন্য আমি তোার অ্যাকাউন্টে না জানিয়েই চাকা পাঠিয়ে রাখতাম। আজ রাজনীতির বেড়াজালে পড়ে, ক্ষণিকের উচ্চ আশায় তুমি এমন সিদ্ধান্ত নিলে। তিনি বলেন, 'হাউস গার্ড পুরো তোমার কাছে ছিল। কষ্ট দেব বলে কষ্ট দিইনি। বলেছিলাম, তৃণমূলকে হঠানো না পর্যন্ত লড়াই করতে দাও। বিজেপি না থাকলে ১ লাখ ভোট পেতাম না। বিজেপি লড়াইয়ের জায়গা দিয়েছে।' এরপরই তিনি বলেন গত ১৫, ২০ দিন কথা হয়নি স্ত্রীয়ের সঙ্গে।

নিখাদ ভালোবাসা থেকে বিজেপির টিকিট
সৌমিত্র খাঁ বলেন, নিখাদ ভালোবেসেছিলেন সুজাতাকে।, সুজাতাকে উদ্দেশ্য কের সৌমিত্রর বার্তা, অভিষেকের নেতৃত্বে তোমার বাড়ি ভাঙা হয়, তার সঙ্গে তুমি আজ আছ। আমি কি পাপী, আমি কি খারাপ? রাজনীতির কিছুই জানো না তুমি। বিজেপি পরিবার তান্ত্রিক পার্টি নয়। তাই টিকিট একই পরিবারের দুজন পেতে পারেনা। আমার চেয়েও তোমার সম্মান বেশি ছিল পার্টিতে। আমি অস্বীকার করিনি। তোমার জন্য ৩০-৪০ হাজার ভোট পেয়েছি।' সৌমিত্র তৃণমূলকে তোপ দেগে বলেন, পরিবার ভাঙুন ক্ষতি নেই। আজ আমি সম্পূর্ণভাবে খাঁ পদবি থেকে মুক্তি দিচ্ছি সুজাতাকে। সৌমিত্র খাঁ নামটার সঙ্গে মুক্তি দিচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে বিজেপির সৈনিক হয়ে কাজ করব। বাংলায় আমি মমতার বিরুদ্ধে কথা বলব। সুজাতা ভুল করলে।

সুজাতা মণ্ডল থেকে খাঁ পদবী বাদ
সৌমিত্র বলেন, সুজাতা মণ্ডলটা লেখ। খাঁ পদবীটা লিখবে না। এটা আমার বংশের পরিচয়, জদাতির পরিচয়। অভিষেকবাবু, সৌগতবাবু। জীবনে জেলকে ভয় পাইনি। দুর্বলতা একটাই সুজাতা আর তাঁর পরিবার। আমার পিছুটান ছিল ও। তৃণমূল কংগ্রেসকে আত্মবলিদান করে সব ছেড়ে দিয়ে কাজ করব। মাননীয়াকে অনুরোধ করব, সুজাতাকে খুন করবেন না। সুজাতা ডিভোর্স নোটিস পাঠাচ্ছি। গৃহবধূর সংসার ভেঙে দিলেন? স্বামী স্ত্রী পদ পেতে পারেনা। টিকিট পেতে পারেন না। আমার সব সম্পত্তির নমিনি তুমি ছিল। সব কিছু জনকল্যাণের স্বার্থে বিলি করব। তোমার যা ভাগ চাও, আমি তোমার কাছে ৭ দিনের মধ্যে সব দেব। বিয়ের অ্যালবামটা হয়নি। ভালো থেকো।

সুজাতার বার্তা সৌমিত্রকে
সুজাতা বলেন, লখিন্দরের পাশে যেভাবে বেহুলা ছিলেন সেভাবেই সৌমিত্রর পাশে সুজাতা ছিলেন বলে দাবি করেন সাংসদপত্নী। তিনি বলেন, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে তিনি স্বামীর হয়ে প্রচার করেন। যদিও সৌমিত্র সম্পর্কে মুখ খুলতে এদিন তিনি রাজি হননি। তিনি বলেন, সৌমিত্রর শুভবুদ্ধি উৎপন্ন হয়ে, তিনি তৃণমূলে ফিরুন, এটাই চান সুজতা।
লড়াই পিকে বনাম শুভেন্দুর! তৃণমূলের ভাঙন রুখতে কোন পথে ঘুঁটি সাজাবেন প্রশান্ত কিশোর