'দাদা'কে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম, বিজয়া সেরে বার্তা দিলেন সৌমিত্র! মুকুল রায়ের অবস্থান নিয়ে জল্পনা
'দাদা'কে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম, বিজয়া সেরে বার্তা দিলেন সৌমিত্র! মুকুল রায়ের অবস্থান নিয়ে জল্পনা
আগেই বলেছিলেন ভালবাসার মানুষের সঙ্গে অভিমান হয়েছিল তাঁর। যুবমোর্চার সভাপতির পদে ইস্তফা দিয়েও ফিরে এসেছিলেন দুদিন আগেই। এবার দিলীপ ঘোষের (dilip ghosh) বাড়িতে গিয়ে পায়ে হাত দিয়ে বিজয়া সারলেন সৌমিত্র খাঁ(Soumitra khan) । অন্যদিকে দিলীপ ঘোষও সৌমিত্র খাঁ-এর মাথায় ও গায়ে হাত বুলিয়ে দেন।
যুব মোর্চার কমিটি ভেঙে দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ
সপ্তমীতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাজ্য যুবমোর্চার সব জেলা কমিটি ভেঙে দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রকাশ হয়ে পড়ে সংগঠন সাজানো নিয়ে দিলীপ ঘোষ ও সৌমিত্র খানের দ্বন্দ্ব। যদিও সৌমিত্র খাসংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেছিলেন, তিনি সেই ব্যাপারে কিছুই জানেন না। কেননা দিলীপ ঘোষ তাঁকে এব্যাপারে কিছুই বলেননি।
পদ থেকে ইস্তফা দিয়েও প্রত্যাবর্তন
অষ্টমীর দিন সকালে যুব মোর্চার সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন সৌমিত্র খান। রাজ্য যুব মোর্চার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েও বেরিয়ে যান। কিন্তু কয়েক ঘন্টার মধ্যেই যুব মোর্চার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দেন সৌমিত্র খান।
অভিমানের কথা স্বীকার করেছিলেন সৌমিত্র
বিষয়টি নিয়ে দলে মান অভিমানের কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খান। তিনি বলেছিলেন, দল হল তাদের কাছে পরিবারের মতো। মা দুর্গার কাছে দিশা দেখানোর জন্য প্রার্থনাও করেছিলেন তিনি।
দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে দিলীপ ঘোষের বাড়িতে
বিজয়ার বিকেলে দলের সিনিয়র নেতা তথা দলের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুকে নিয়ে পৌঁছে যান দিলীপ ঘোষের ফ্ল্যাটে। দিলীপ ঘোষের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে সৌমিত্র জানিয়েছেন, দাদার বাড়িতে বিজয়ার প্রণাম সারতে গিয়েছিলেন।
দুজনের উপহার বিনিময়
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সৌমিত্র খাঁ যাবতীয় তিক্ততা ভুলে আগামী নির্বাচনের জন্য আশীর্বাদ চেয়ে নেন। পাশাপাশি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সুস্থতাও কামনা করেন। দুজনে উপহার বিনিময়ও করেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তবে এর পিছনে মুকুল রায়ের কোনও অবদান আছে কিনা তা এখনও পরিষ্কার নয়। অন্য কোনও সমীকরণ আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কেননা দিলীপ ঘোষ এবং সৌমিত্র খাঁ উভয়েই চরম পথ বেছেনিয়েছিলেন।
দাঁতনে পুলিশের মদতে কর্মী খুনের অভিযোগ! দিলীপ ঘোষ দিলেন হুঁশিয়ারি