শুভেন্দুর বিজেপি-যোগে বাকী তিন ‘অধিকারী’ কোণঠাসা! বার্তা দিচ্ছে সুজাতার ‘ঘরওয়াপসি’
একা শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানে বাকী তিনজন 'অধিকারী' রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। এমনটাই মনে করাচ্ছেন সুজাতা খাঁ। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা শুভেন্দুর দল ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তারপরে ঘটনা পরম্পরা তুলে ধরেই সুজাতা জল্পনা বাড়িয়েছেন অধিকারী পরিবারের বাকি তিনজনকে নিয়ে।

সুজাতার তৃণমূলে যোগদানের পরই...
সুজাতার তৃণমূলে যোগদানের পরই তাঁর বিজেপি সাংসদ স্বামী বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছেন। আর জানিয়েছেন বিজেপিতে পরিবারতন্ত্রের কোনও জায়গা নেই। একই পরিবারের দুজন কখনও পদ পেতে পারেন না বিজেপিতে। তাহলে তো সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া হেভিওয়েট শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারের সদস্যরা বিজেপিতে গিয়ে পদ পাবেন না!

কোনও পদ না পেলে কি বিজেপিতে আসবেন অধিকারী?
শুভেন্দুর যোগদানের পর শিসির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী, সৌম্যেন্দু অধিকারী তাহলে কী করে বিজেপিতে আসবেন, তাঁদের তো পদই থাকবে না। এখন তাঁরা সবাই তৃণমূলে পদ অলঙ্কৃত করে আছেন। তাঁরা সেই পদ ছেড়ে এসে যদি বিজেপিতে কোনও পদ না পান, তাহলে কি তাঁরা বিজেপিতে আসবেন? সৌমিত্র খাঁয়ের যুক্তি কিন্তু তা-ই বলে।

অধিকারীরা তৃণমূলে রাজ চালিয়েছেন, তারপর...
শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের তিনটি দফতরের মন্ত্রী ছিলেন, ছিলেন দলের রাজ্য সহসভাপতি। এছাড়া তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক পদের শেষ ছিল না। ছিলেন নানা কমিটিতেও। তারপর শুভেন্দু অধিকারীর পিতৃদেব শিশির অধিকারী জেলার সভাপতি আবার সাংসদ। এক ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূলে সাংসদ, আর এক ভাই সৌম্যেন্দু কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান। এঁরা যদি বিজেপিতে যান সৌমিত্রর যুক্তিতে পদহীন থাকতে হবে।

শুভেন্দুকে নিয়ে জল্পনার মাঝে অন্য অধিকারীদের ভূমিকা
আবার অন্যদিকে তৃণমূলে তাঁরা এতদিন পরিবারতন্ত্র চালালেও, তাঁদেরই একজনকে বিজেপি ঘটা করে দলে নিল। তারপর শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী, সৌম্যেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকলেও সে অর্থে তাঁরা এখন সেভাবে গুরুত্ব পাচ্ছেন না। শুভেন্দুকে নিয়ে জল্পনার মাঝে কোনও অধিকারীকেই গুরুত্বের আসনে দেখা যায়নি।

শুভেন্দুর জনপ্রিয়তার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারবেন দিব্যেন্দু!
যদিও বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে দিব্যেন্দুকে প্রশ্ন করা হলে সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, ' এটি অমূলক প্রশ্ন। আমি তো আর পাগলা ষাঁড় হয়ে যাইনি। আমার অবস্থান স্পষ্ট।' তিনি সাফ জানান, শুভেন্দু অধিকারী যা করেছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।

শুভেন্দু-বিয়োগের পর অধিকারী গড় নিয়ে কী ভাবছে তৃণমূল
এখন প্রশ্ন, অধিকারীগড়ে কি শুভেন্দুকে হটিয়ে রাজ করতে পারবেন শিশির-দিব্যেন্দুরা! তাঁরা কি শুভেন্দুর জনপ্রিয়তাকে টেক্কা দিতে পারবেন! তারপর তৃণমূল তাঁদের উপর কতটা ভরসা রাখবে, তাও একটা ফ্যাক্টর। তৃণমূল কিন্তু শুভেন্দু-বিয়োগের পর থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারীদের ছাড়াই ভাবতে শুরু করেছে বলে রাজনৈতিক মহলের অভিমত।

{quiz_455}