
দলত্যাগের জল্পনার মাঝেই সৌমিত্রকে গুরুদায়িত্ব, সিঁদুরে মেঘ বিজেপির আকাশে
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই সৌমিত্র খাঁকে নিয়ে জল্পনার বাতাবরণ তৈরি করেছেন সাংসদ অর্জুন সিং। তবে সৌমিত্র খাঁও দলবদল করতে পারেন সেই জল্পনার মাঝেই তাঁকে নয়া দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সৌমিত্র খাঁকে বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও জল্পনায় ইতি পড়েনি। জল্পনার পারদ আরও চড়েছে সৌমিত্রকে নিয়ে।

প্রশ্ন উঠেছে, হঠাৎ করে সৌমিত্র কে কেন নতুন দায়িত্ব দেওয়া হল। অর্জুন সিং যখন সৌমিত্রকে নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন, তারপরই বিজেপির পক্ষ থেকে সৌমিত্রকে শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হল। দুই ঘটনার সঙ্গে যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করছে রাজনৈতিক মহল। সৌমিত্র নিজে তৃণমূলে ঘর ওয়াপসির সম্ভাবনা খারিজ করে দিলেও জল্পনা বা গুঞ্জন থামছে না।
এদিন অর্জুনের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যের পরই বিজেপির তরফে সৌমিত্রকে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। তারপর তাঁকে সাংবাদিক বৈঠকেও বসানো হয়। তবে কি সৌমিত্রকে নতুন পদ দিয়ে খুশি রাখার চেষ্টা করছে বিজেপি। তিনি যাতে দল ছেড়ে না যান, তারই কি একটা চেষ্টা এই দায়িত্ব অর্পণ, তা নিয়ে উঠে পড়েছে প্রশ্ন। সৌমিত্রকে পদ দিতেই জল্পনার পারদ ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।
অর্জুন সিং এদিন সৌমিত্র খাঁকে নিয়ে জল্পনা পারদ চড়িয়ে বলেন, সৌমিত্র আমার ভাই আছে। তবে এত তাড়াতাড়ি কিছু না বলাই ভালো। ওয়েট অ্যান্ড সি, অনেকে আসবে। সৌমিত্র খাঁকে নিয়ে বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যের পরই গুঞ্জন ছড়ায় রাজনৈতিক মহলে। তারপরই সৌমিত্র অর্জুনের বিবৃতি খণ্ডন করেন।
সৌমিত্র পাল্টা বলেন, যেদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে থাকবেন না সেদিনই তৃণমূলে ফিরবেন তিনি। কারণ অভিষেকের নেতৃত্বে তিনি পার্টি করবেন না। অর্জুনদার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো। সম্পর্ক ভালো অপরূপো পোদ্দার, সুখেন্দুশেখর রায়ের সঙ্গেও। তাঁদের সঙ্গে রাজনৈতিক মত সম্পূর্ণ ভিন্ন। অভিষেককে ভাইপো বন্দ্যোপাধ্যায় বলে কটাক্ষও করেন তিনি। বলেন, অনেক কিছু নায়ক এই চতুর শিয়াল। উনি আগে পদত্যাগ করুন, তারপর তৃণমূল নিয়ে ভাবব। সৌমিত্র বলেন, আমি তাঁর হাত ধরে বলির পাঁঠা হব না। আমি চতুর শিয়ালের পতন দেখতে চাই।
এদিন অর্জুনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিজেপিতে অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরির করার চেষ্টা চলছে। যাঁরা দল ছাড়তে চান, তাঁরা যেন অবিলম্বে দলে ছড়ে চলে যান। দরজা খোলাই রয়েছে। আমি নিশ্চিত বিজেপি তাদের সংগঠন ঠিক গুছিয়ে নিতে পারবে। তবে দিলীপ ঘোষ বলেন, কে কখন কোথায় যাবে, তা আগাম কিছুই বলা যায় না।