শিশির 'কোনও সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না'-র বার্তা দিলেও সৌমেন তৃণমূলের হয়ে কোন বার্তা দিলেন
'শিশিরবাবু চেয়ারম্যান, তাঁর নির্দেশেই আমরা সব করব', নতুন দায়িত্ব নিয়ে সৌমেন মহাপাত্র দিলেন বড় বার্তা
শিশির অধিকারী বলেছেন 'কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।' রাজ্যে দলবদলের ঝড়ের মধ্যে অধিকারী পরিবারের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই ব্যক্তিত্বের এমন বার্তা ঘিরে রাজ্যে যখন তুমুল হইচই, তখন সেই শিশির অধিকারীকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখলেন পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের নতুন সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র।
'শিশিরবাবুকে ডাকার প্রশ্ন নেই, তিনিই আমায় ডাকবেন
শুভেন্দু পর্বের পর তৃণমূল পূর্ব মেদিনীপুরে দলের সভাপতি পদ থেকে শিশির অধিকারীকে অপসারণ করেছে। সেই কুর্সি এখন সৌমেন মহাপাত্রর । ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নয়া দায়িত্ব নিয়েই সৌমেন মহাপাত্রর সামেন এখন মমতার আসন্ন নির্বাচনী সভা সফল করার গুরু দায়িত্ব। সেখানে শিশির অধিকারী কি আসবেন? আর এই সমস্ত প্রেক্ষাপট নিয়ে সৌমেন মহাপাত্র বলেন,' আমার শিশিরবাবুকে ডকার প্রশ্ন নেই। তিনিই আমাকে ডাকবেন।'
শিশিরবাবুর 'অধীনস্থ আমি'
সৌমেন মহাপাত্র এদিন একধাপ এগিয়ে বলেন, 'শিশিরবাবু তো আমাদের চেয়ারম্যান , তাঁর অধীনস্থ সভাপতি আমি। তাই তাঁর নির্দেশেই আমরা সব করব।' যদিও সৌমেন মহাপাত্রর এই বক্তব্যের পরেই খবরে উঠে আসতে থাকে শিশির অধিকারীর সাম্প্রতিক প্রতিক্রিয়া। যেখানে তিনি খানিকটা ক্ষোভই উগড়ে দিয়েছেন দলের কলকাতার একাংশের প্রতি।
শিশির অধিকারীর বক্তব্য
এদিকে, সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়ে শিশির অধিকারী বলেছেন, কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন' যাঁরা আমার অসুস্থতার কথা বলছেন, তাঁদের থেকে আমি অনেক বেশি সক্ষম।' পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য ' আমি ১৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচব'। প্রসঙ্গত, দলের দায়িত্ব নিয়ে সৌমেন মহাপাত্র সেভাবে কোনও বিতর্কে জড়াতে চাননি বলেই দাবি একাধিক মহলের। তাঁর সামনে এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ অধিকারীগড়ে ১৮ জানুয়ারি মমতার সভা সফল করার। যদিও তৃণমূল শিশির অধিকারীর থেকে একাধিক পদ কেড়ে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়ে দিয়েছে। যার পরই একমাত্র 'সম্ভবানা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না' মন্তব্যটি করেন শিশিরবাবু। তার আগে শান্তিকুঞ্জে বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতোর উপস্থিতি এবং তার আগে মমতা, ফিরহাজ, সৌগতদের সভায় শিশিরের অনুপস্থিতি প্রকট হতে থাকে। তবে সেই সময় শিশির অধিকারী সেভাবে মুখ খুলতে চাননি। শুধু জানা গিয়েছিল পায়ের ব্যথার কারণে তিনি মমতার সভায় অনুপস্থিত ছিলেন ।
অধিকারী পরিবার ও সৌমেন ইস্যু
প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক মাটিতে অধিকারীদের সঙ্গে সৌমেন মহাপাত্রর বিরোধিতাই বেশি বলে শোনা যায়। যেদিন শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেন ঠিক তার পরেই সৌমেন মহাপাত্র ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের প্রসঙ্গ তুলে তাঁকে তমলুক থেকে পিংলা পাঠানোর ঘটনাটি উল্লেখ করেন। সেক্ষেত্রে যে তাঁর নিশানায় শুভেন্দু ছিলেন , তা অনেকেই দাবি করেছেন।