শুভেন্দুকে নিয়ে মমতাকে রিপোর্ট! দ্বিতীয় বৈঠক শেষে সৌগত জানালেন সম্ভাবনার কথা
শুভেন্দুকে নিয়ে মমতাকে রিপোর্ট! দ্বিতীয় বৈঠক শেষে সৌগত জানালেন সম্ভাবনার কথা
শুভেন্দু অধিকারীর মানভঞ্জনে টানা দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেছেন সৌগত রায়। হাইভোল্টেজ সেই বৈঠকে আশা জাগিয়েও ফল মিলল না। শুভেন্দু অধিকারী সঙ্গে বৈঠকে যে নির্যাস উঠে এল, তা রিপোর্ট আকারে দলীয় সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠাচ্ছেন সৌগত রায়। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন নির্দেশ দেবেন, সেইমতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুভেন্দুকে নিয়ে সৌগত রিপোর্ট দেবেন নেত্রীকে
সৌগত রায় বৈঠকের পর মুখ না খুললেও মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে পরিষ্কার বলেছেন, শুভেন্দুকে নিয়ে জট এখনও কাটেনি। বৈঠকে অনেক কিছুই উঠে এসেছে। অনেক ভুল বোঝাবুঝি ছিল, তা মেটানোর চেষ্টা করেছি। এখন সবকিছুরই রিপোর্ট দেব নেত্রীকে। তারপর। নেত্রীর নির্দেশ মতো কাজ হবে। প্রয়োজনে আবারও আমরা বসতে পারি আলোচনায়।
প্রথম বৈঠকের পর থেকে শুভেন্দু একটু নমনীয়
তৃণমূল শুভেন্দুকে ফের দলের পতাকা হাতে সক্রিয় করতে সৌগত রায়কে ময়দানে নামিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম বৈঠকের পর থেকে শুভেন্দু একটু নমনীয় হয়েছেন। তারপর রামনগরের মেগা শো-তে তেমন কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করেননি। বরং বলেছিলেন তিনি তৃণমূলেরই আছেন। তৃণমূলের একাংশ কুৎসা করলেও তিনি কড়া জবাব দেননি।
দ্বিতীয় বৈঠকের পর শুভেন্দু কী ভূমিকায় প্রকাশ্যে এলেন
শুভেন্দুর সঙ্গে দ্বিতীয় বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে নারাজ সৌগত রায়। তবে শুভেন্দু ওই বৈঠকের পর মঙ্গলবার খেজুরিতে পদযাত্রা করলেও মমতা বা তৃণমূলের নাম নেননি। তিনি বন্দেমাতরম ধ্বনি তুলেছেন। তাঁর পদযাত্রায় তৃণমূলের বিধায়করাও এসেছিলেন। তাঁরা দাবি করেন, তৃণমূলের ব্যানারেই এই পদযাত্রা হয়েছে।
হাইভোল্টেজ বৈঠক কার্যত ব্যর্থ হয়েছে শুভেন্দুকে নিয়ে
সৌগত রায় শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকের আগে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বসেছিলেন। বসেছিলেন পিকের সঙ্গেও। তারপর সন্ধ্যায় শুভেন্দুর সঙ্গে ৯০ মিনিটের বৈঠক হয়। এই বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক মহলের উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। কিন্তু আদতে কিছুই হয়নি বৈঠকে। হাইভোল্টেজ বৈঠক কার্যত ব্যর্থ হয়েছে।
শুভেন্দুকে নিয়ে তৃণমূলের দ্বিমুখী নীতিই দায়ী
আবার এই বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার জন্য তৃণমূলের দ্বিমুখী নীতিকে দায়ী করছেন অনেকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, একদিকে শুভেন্দুকে নিয়ে নরম বার্তা দিচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার প্রমুখ নেতা-নেত্রীরা। আর অন্যদিকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্ব্যর্থহীন ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন। তৃণমূলের এই নীতির কঠোর সমালোচনা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
মানভঞ্জনের উপযুক্ত পরিবেশ ছিল, তবু তিমিরেই শুভেন্দু
উল্লেখ্য, এদিন শুভেন্দুর মানভঞ্জনের উপযুক্ত পরিবেশ ছিল। বহুদিন পর তিনি পরিবহণ দফতরে গিয়েছিলেন। পরিবহণমন্ত্রী হিসেবে তাঁর দফতরে কাজ সারার পর তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে সৌগত রায়ের সঙ্গে উত্তর কলকাতার একটি জায়গায় বৈঠক করেন। তবে বৈঠকের আগে যেমনটা মনে হচ্ছিল, বৈঠকের পরে সে অর্থে ইতিবাচক কিছু ঘটেনি। পরিস্থিতি যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে। চলতি সপ্তাহে ফের বৈঠকে বসতে পারেন তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ এলেই।
মেরুকরণের সমীকরণ কষছে সবাই, ডিসেম্বরেই ওয়েইসি-শাহ 'ফেস-অফ' দেখতে পারে বাংলা