শুভেন্দু-গড়ে অধিকারীদের দর কমাচ্ছে তৃণমূল! একুশের যুদ্ধে কারা পাবেন গুরুত্ব
অধিকারীদের প্রধান নেতা শুভেন্দু। জনপ্রিয় আবার দক্ষ সংগঠকও। সেই শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অমিত শাহের হাত ধরে। তাই তৃণমূল আর 'অন্য' অধিকারীদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নয়। কেননা এই মুহূর্তে শুভেন্দুকে ছাড়া অধিকারীদের ক্ষমতা কতটুকু, তা নিয়েই সন্দেহ রয়েছে। তাই তৃণমূল এখন অধিকারী-বিরোধীদেরই বেশি গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে।


তৃণমূলে অনেক বেশি গুরুত্ব পাচ্ছেন অখিল
কাঁথিতে তৃণমূলের সভায় সৌগত রায় জোর গলায় বললেন, শুভেন্দু এমন কিছু পালোয়ান নয়, তার চেয়ে অখিল বড় পালোয়ান। তাঁর এই কথাতেই স্পষ্ট হয়ে গেল শুভেন্দু বা অধিকারীদের থেকে এখন তৃণমূল অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে অখিল গিরিদের। শুভেন্দু বিহনে তৃণমূলের কাছে গুরুত্ব হারিয়েছেন শিশির অধিকারীরা।

তৃণমূলের কাঁথির সভাও অধিকারী-হীন
মেদিনীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় ছিলেন না শিশির অধিকারী। শরীর খারাপের অছিলায় তিনি এড়িয়ে গিয়েছিলেন সভা। এবার একেবারে খাসতালুকে সভা করলেন সৌগত রায় ও ফিরহাদ হাকিম। শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের পর তৃণমূলের প্রথম জনসভা অধিকারীদের খাসতালুক কাঁথিতে, অথচ সেখানে ব্রাত্য অধিকারী পরিবারের তিন সদস্য।

শুভেন্দুর থেকে বড় নেতা অখিল গিরি!
কাঁথির জনসভা কার্যত শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তৃণমূলের শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ। সেখানে অধিকারীরা থাকবেন না, সেটাই স্বাভাবিক। তাহলে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তৃণমূলের আক্রমণের ঝাঁঝ কমে যাবে। প্রত্যাশামতোই ছিলেন না অধিকারীদের কেউই। আর এই অধিকারীহীন মঞ্চ থেকে সৌগত রায় সাফ জানিয়ে দিলেন, শুভেন্দুর থেকে বড় নেতা অখিল গিরি।

পূর্ব মেদিনীপুরে অখিল গিরির নেতৃত্বেই লড়বে তৃণমূল
তৃণমূল বুঝিয়ে দিল, আসন্ন একুশের বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরে তাঁরা অখিল গিরির নেতৃত্বেই লড়বে। শিশির অধিকারী জেলা সভাপতি হলেও, ব্যাটন থাকবে অখিল গিরির হাতে। অধিকারী পরিবারের বিরোধীরাই আসন্ন নির্বাচনে বেশি গুরুত্ব পাবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।

অধিকারীরা থেকেও নেই তৃণমূল কংগ্রেসে
শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী এখনও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল সভাপতি এবং তিনি কাঁথির সাংসদও। তাঁকে সেভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলেই অভিযোগ। তৃণমূল সূত্রের খবর, শিশির অধিকারীর অফিসে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছে। শিশির অধিকারী জানিয়েছেন তিনি অসুস্থ তাই অফিসেও যেতে পারেননি। ফলে হাতে আমন্ত্রণ পত্র পাননি। দিব্যেন্দু-সৌম্যেন্দুদের আমন্ত্রণ জানানোই হয়নি।

অধিকারী-গড় কি এবার অধিকারী বিরোধীদের দখলে
সৌগত-ফিরহাদের সভায় যেহেতু শিশির, দিব্যেন্দু ও সৌম্যন্দুও থাকলেন না, নিজেদের গড়ে তাঁরা কার্যত দলহীন এখন। শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁরা কেউ বিজেপিতে যাননি। কিন্তু তৃণমূলে থেকেও দাম পাচ্ছেন না। ফলে তাঁরা কী করবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন রয়েই যায়। অধিকারী-গড় অন্যদিকে ঘুরে যায়, নাকি অধিকারী বিরোধীদের দখলে চলে যায়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
রাজীব জল ঢাললেন জল্পনায়, বিধানসভার অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে দিলেন বিশেষ 'বার্তা’