বিকেলে সৌগতের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা! শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কোন পদক্ষেপ, জল্পনা তুঙ্গে
এদিন বিকেলে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। দলের সঙ্গে সমস্যা দূর করতে এর আগেও তাঁরা বৈঠকে বসেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী ঠিক কী করতে চান, তা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিনের পরে তৃণমূলের তরফে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে আর ফেরানোর চেষ্টা নাও চালানো হতে পারে।

সৌগত শুভেন্দু আগেও আলোচনা
এর আগেও দলের সঙ্গে বিরোধ কমাতে শুভেন্দু অধিকারী বৈঠকে বসেছিলেন সৌগত রায়ের সঙ্গে। মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব দিয়েছিলেন সৌগত রায় এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। প্রথম বৈঠক হয়েছিল ভাঁইফোটার দিন, নিউটাউনে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেই বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী প্রশান্ত কিশোর এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রীর সফর সঙ্গী কল্যাণ
গত ফেব্রুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাঁকুড়া সফরে যেখানে সফর সঙ্গী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, সেখানে এবার সফর সঙ্গী হয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েকদিনে শুভেন্দু অধিকারীর প্রতি আক্রমণ শানিয়েছেন সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। সব থেকে বেশি সক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, দলের সদস্য থাকব, মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী থাকব, আবার অন্য রাজনৈতিকদলের সঙ্গে গোপনে আঁতাত করব, এটা হতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেছিলেন, সিঙ্গুর থেকে নন্দীগ্রাম সর্বত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই আন্দোলন হয়েছিল।

অরাজনৈতিক সভায় শুভেন্দু, পড়ছে পোস্টার
গত একমাসের বেশি সময়ে শুভেন্দু অধিকারী অরাজনৈতিক সভায় হাজির হয়েছেন। সেখান থেকে নিজের দলের কাউকে কাউকে নাম না করে বার্তা দিলেও, এর থেকে বেশি রাজনৈতিক আলোচনা তিনি করেননি। তবে দাদার অনুগামী এবং আমরা দাদার অনুগামী নাম দিয়ে রাজ্যে জায়গায় জায়গায় পোস্টার পড়েছে।
রামনগরের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করেছিলেন, তিনি এখনও দলের প্রাথমি,ক সদস্য। রাজ্য মন্ত্রিসভারও সদস্য তিনি। দলের নিয়ন্ত্রকরা তাঁকে তাড়াননি। তিনিও দল ছেড়ে দেননি। এছাড়াও তিনি যেসব পদে রয়েছেন, তার সবকটিতেই তিনি নির্বাচিত সদস্য। তিনি মন্ত্রিসভায় থেকে দলের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলবেন না বলেও জানিয়েছিলেন। তিনি ইঙ্গিত করেছিলেন দল করতে গেলে বিভেদ তৈরি হয়। বিচ্ছেদও আসে। কিন্তু যতক্ষণ তিনি মন্ত্রিসভায় আছেন, ততক্ষণ রাজনৈতিক কথা বলা যায় না।

কৌশলগত বৈঠক করে নিয়েছে তৃণমূল
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কৌশলগত বৈঠক করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের আরও খবর শনিবার দুপুরে তৃণমূল নেত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে এই বৈঠকটি হয়। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সেখান থেকেই নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ককে ফোনে ধরার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। ফলে শুভেন্দু অধিকারীকে ফেরাতে সেরকম আর চেষ্টা করা হবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীর সাম্প্রতিক আচরণে খুশি নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কংগ্রেস শেষের পথে, ফাইভ স্টার হোটেল কালচারে জন বিচ্ছিন্ন নেতারা, বিস্ফোরক মন্তব্য গুলাম নবিদের