অনুব্রত-মানিকে পাশে থাকলেও পার্থের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কেন? পরিষ্কার করলেন সৌগত রায়
ফের সৌগত রায়ের মন্তব্যে চাঞ্চল্য! নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইতিমধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এমনকি তাঁর বান্ধবীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা নগদ পাওয়া গিয়েছে। যা নিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে শাসক ত
ফের সৌগত রায়ের মন্তব্যে চাঞ্চল্য! নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইতিমধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এমনকি তাঁর বান্ধবীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা নগদ পাওয়া গিয়েছে। যা নিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে শাসক তৃণমূল।
এমনকি গরু এবং টাকার বিনিময়ের চাকরি নেওয়ার ঘটনাতেও অনুব্রত মণ্ডল এবং মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এই অবস্থায় ফের একবার মুখ খুললেন দমকমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। যা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।
অনুব্রত-মানিকের পাশে দাঁড়ালেও পার্থে না
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌগত রায় বলেন।, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে টাকা পাওয়া গিয়েছে। এমনকি তা খোলাখুলি পাওয়া গিয়েছে। আর তা সবাই দেখেছে বলে মন্তব্য সৌগত বাবুর। শুধু তাই নয়, মানিক কিংবা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিষয়টি আলাদা বলে দাবি তাঁর। কারণ সেখান থেকে কোনও টাকা পাওয়া যায়নি বলে মন্তব্য তৃণমূল নেতার। যদিও এখন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে বলছে। কিন্ত্য মোটা টাকা অ্যাকাউন্টে আছে বলা হচ্ছে। কিন্ত টাকা পাওয়া যায়নি বলে মন্তব্য সৌগত রায়ের।
মন্তব্য ঘিরেই তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।
আর এহেন মন্তব্য ঘিরেই তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। বলে রাখা প্রয়োজন, বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধারের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। কিন্ত্য এখন মানিক ভট্টাচার্য কিংবা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং অনবুব্রত মন্ডলের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা। যেখানে তৃণমূল জিরো টলারেন্স এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধ সরব হচ্ছে তৃণমূল সেখানে কেন এমন অবস্থা? এই বিষয়েই সৌগত রায়ের মন্তব্য, পার্থর ক্ষেত্রে খোলাখুলি টাকা পাওয়া গিয়েছে, সবাই দেখেছে। তারপর দল চুপ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য তৃণমূল সাংসদের।
শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা
সৌগত রায়ের এহেন মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা। কড়া ভাষায় সাংসদকে আক্রমণ শানিয়েছেন অধীর চৌধুরী। তাঁর দাবি, সৌগত রায়কে নিয়েই তো দল বিড়ম্বনাতে। ওনাকেও তো নারদা কাণ্ডে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। অ্যামাউন্টটা কম বলে সবাই চেপে যাচ্ছে বলে অভিযোগ প্রদেশ সভাপতি। অন্যদিকে বিজেপিও তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে। শমীক ভট্টাচার্য বলেন, উনি একটু বিশ্রাম নিক। ওনার বিশ্রামের প্রয়োজন আছে বলে কটাক্ষ বিজেপি নেতার। পাশাপাশি বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, তৃণমূলের সমস্ত নেতাই বাংলার মানুষের বিড়ম্বনার কারণ হয়ে উঠছে। সৌগতবাবুদের সোশ্যাল সেন্স নেই বলেও কটাক্ষ বাম নেতার।