কংগ্রেসে কি গান্ধী-‘যুগে’র অবসান! ৫ রাজ্যের ভোটে হারের পর ‘পদত্যাগ’-জল্পনা
পাঁচ রাজ্যে ভোটের পরাজয়ের পরে কি কংগ্রেসে আসতে চলেছে বিরাট রদবদল? রবিবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের আগে তা নিয়েই তৈরি হয়েছে জোর জল্পনা।
পাঁচ রাজ্যে ভোটের পরাজয়ের পরে কি কংগ্রেসে আসতে চলেছে বিরাট রদবদল? রবিবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের আগে তা নিয়েই তৈরি হয়েছে জোর জল্পনা। গুঞ্জন উঠেছে, কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে নির্বাচনে পরাজয়ের দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে পারেন গান্ধীরা। কংগ্রেসে হতে পারে গান্ধী-যুগের অবসান।
সাম্প্রতির পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস পর্যুদস্ত হয়েছে। চার রাজ্যে বিজেপির কাছে হারতে হয়েছে, আপের কাছে হেরে হাতছাড়া হয়েছে পাঞ্জাবও। এই খারাপ পারফরম্যান্সের মাশুল গুণতে হবে গান্ধীদের। হারের নৈতিক দায় নিয়ে দলের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পদত্যাগ করতে পারেন।
রবিবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সভায় সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কারা পদত্যাগ করতে পারেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। এই বৈঠকে সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী পদত্যাগের প্রস্তাব দিতে পারেন। তবে তাঁদের পদত্যাগের প্রস্তাব এবারই প্রথম নয়। ২০১৪ সালে কংগ্রেসের খারাপ পারফরম্যান্সের পরে সোনিয়া-রাহুল উভয়েই পদত্যাগ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছিল।
পাঁচটি রাজ্যে ভোটে পর্যুদস্ত হওয়ার কারণ এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে রবিবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা। ওইদিন বিকাল চারটেয় অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির অফিসে এই বৈঠক হবে। তার আগে কংগ্রেসের এই পদত্যাগ নিয়ে জল্পনা চলছে।
কংগ্রেসের জি-২৩ সদস্যরাও কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য। তারা কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের সময় পার্টিতে সংস্কারের দাবি উত্থাপন করতে প্রস্তুত। এই বৈঠকে দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের দাবি উঠবে। রাহুল গান্ধী ২০১৯ সালে দলের সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করার পর থেকে কংগ্রেস তাঁর স্থলাভিষিক্ত করতে পারেনি কাউকে। রাহুল গান্ধী নিজে বা গান্ধী পরিবারের কাউকে সভাপতি করার বিরুদ্ধাচারণ করেন। কিন্তু গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত বা মনোনীত করতে পারেনি কংগ্রেস। সেই থেকে সোনিয়া গান্ধী অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসাবে কাজ করে চলেছেন।
এরপর পাঁচটি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর কংগ্রেসে বিশাল ধাক্কা নেমে আসে। এখন এই ধাক্কা সামলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেসকে প্রধান শক্তিধন প্রতিপক্ষ হিসেবে তুলে ধরতে আম আদমি পার্টি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মতো উদীয়মান চ্যালেঞ্জকে প্রতিহত করতে হবে। দেশে বিজেপি-বিরোধী রাজনীতির ভিত্তি হিসেবে তুলে ধরতে তাই এখন দক্ষ কাণ্ডারির খোঁজে কংগ্রেস।