কংগ্রেস সভানেত্রীর পদ ছাড়তে পারেন সোনিয়া গান্ধী! বর্ষীয়ান কমলনাথের উপর গুরু দায়িত্ব?
সামনেই ২৪ এর লড়াই! আর এই লড়াইয়ে প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে সমস্ত অবিজেপি শক্তিগুলিকে ফের একবার এক ছাতার তলাতে আনার চেষ্টা চলছে। তবে এবার গুরু দায়িত্বে ভোট কৌসুলি প্রশান্ত কিশোর।
সামনেই ২৪ এর লড়াই! আর এই লড়াইয়ে প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে সমস্ত অবিজেপি শক্তিগুলিকে ফের একবার এক ছাতার তলাতে আনার চেষ্টা চলছে। তবে এবার গুরু দায়িত্বে ভোট কৌসুলি প্রশান্ত কিশোর।
তবে সেই লড়াইয়ে ঝাপানোর আগে বড়সড় রদবদল হতে চলেছে কংগ্রেস শিবিরে? এমনটাই জল্পনা তৈরি হয়েছে। লোকসভা ভোটে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাপানোর আগে সর্বস্তরে নেতৃত্বে বদল আনার কথা ভাবছে প্রধান এই বিরোধী শক্তি।
সূত্রের খবর, কংগ্রেস সভানেত্রীর পদ থেকে সরতে চলেছেন সোনিয়া গান্ধী। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ তিনি। কিন্তু এরপরেও দলকে নেতৃত্ব দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু সম্ভবত এবার দলের বর্ষীয়ান নেতা কমল নাথের উপর গুরু দায়িত্ব চাপতে চলেছে বলে খবর। কংগ্রেস সভাপতি করা হতে পারে তাঁকে।
সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি বৈঠক হয়। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী- সোনিয়া গান্ধীর মধ্যে এই বৈঠক হয়। সেখানেই দলের সভানেত্রীর পদ ছাড়ার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে বলে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, লোকসভার ভোটের আগে আরও বেশ কয়েকটি পদেও রদবদল হতে পারে বলে খবর। অগস্টে কংগ্রেসের একটি সভা হতে পারে। সেখানেই এই বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে খবর।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশে ব্যাপক ভাবে পরাজয় হয় কংগ্রেসের। আর এই পরাজয়ের দায় নিয়ে সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল গান্ধী। এরপরেই কার্যত দলের মধ্যে শুরু হয় দন্দ। G-23 অর্থাৎ গুলাব নবী আজাদ, আনন্দ শর্মা, শশী থারুর, কপিল সিব্বল সহ একাধিক কংগ্রেস নেতা নেতৃত্ব বদলের দাবি তুলতে থাকে।
অপর অন্য অংশ সোনিয়া গান্ধীকেই দলের রাশ হাতে নেওয়ার জন্যে দাবি তুলতে থাকে। এই অবস্থায় অন্তবর্তীকালীন কংগ্রেস সভানেত্রীর পদে বসেন সোনিয়া। তবে সূত্রের খবর, আগামী লোকসভার আগে কংগ্রেসকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তুলতে। একেবারে দলের মধ্যে বদল চাইছেন তিনি। আর সেই কারণে অভিজ্ঞ কমলনাথকে নতুন সভাপতি করতে চাইছেন সোনিয়া গান্ধী।
শুধু তাই নয়, ২০০২ সালে কংগ্রেসের জেনারেল সেক্রেটারি হিসাবে কাজ করেছেন কমল নাথ। দলের প্রথম দিন থেকে সৈনিক তিনি। অনেক ঘটনার সাক্ষী তিনি। এবার তাঁর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কংগ্রেসকে এগিয়ে দিতে চান সোনিয়া গান্ধী।
অন্যদিকে, রাজনৈতিকমহলের একাংশের মতে, ভোটে বারবার পরিবারতন্ত্র নিয়ে খোঁচা দেয় বিজেপি। যা একটা হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেই অপবাদও কার্যত মুছে ফেলতে চান বর্তান সভানেত্রী! আর সেই কারণেই কি এই ছক? প্রশ্ন রাজনৈতিকমহলের।