মমতাকে ‘নেতৃ্ত্বে’ বসালেন খোদ সোনিয়া! বাংলার রাজনীতিতে এক সিদ্ধান্তেই বাড়ালেন জল্পনা
মমতাকে ‘নেতৃ্ত্বে’ বসালেন সোনিয়া! বাংলার রাজনীতিতে এক সিদ্ধান্তেই বাড়ালেন জল্পনা
২০২১-এর নির্বাচনের আগে ফের কাছাকাছি এলেন সোনিয়া গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার মমতাকে কাছে পেয়ে তাঁকেই পৌরহিত্যের অনুরোধ করে সোনিয়া গান্ধী বুঝিয়ে দিলেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর কতটা বিশ্বাস রাখেন। আর এরপরই চর্চা শুরু হয়েছে, এর ফলে কি বাংলার সমীকরণে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বদল আসতে শুরু করেছে?
বাংলায় কি ফের কংগ্রেস-তৃণমূলের জোট?
আর মাত্র মাস আটেক দূরে বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। এবার মমতার তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে তৈরি বিজেপি। তাই কি তার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়তে পারেন? সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সুসম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে ফের কি বাংলায় হতে পারে কংগ্রেস-তৃণমূলের জোট? চর্চা কিন্তু শুরু হয়ে গিয়েছে।
কংগ্রেসে উভয় সংকট তৈরি হবে না তো?
সোনিয়া গান্ধী গ্রিন সিগন্যাল দিলে প্রদেশ কংগ্রেস সহমত হতেই পারে তৃণমূলের সঙ্গে রাজযে জোট বাঁধতে। কেননা পূর্বেও দেখা গিয়েছে প্রদেশের আপত্তি সত্ত্বেও হাইকম্যান্ডের নির্দেশ মেনে জোট হয়েছে। এবার কি তেমনই কোনও উভয় সংকট তৈরি হবে? নাকি বামেদের সঙ্গে নিয়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে পরিবর্তনের লড়াইয়ে নামবে কংগ্রেস?
শত্রুর শত্রু বন্ধু এই ফর্মুলায় জোট
জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের মূল শত্রু বিজেপি, আবার রাজ্যে তৃণমূলের মূল শত্রু বিজেপি। শত্রুর শত্রু বন্ধ এই ফর্মুলায় জোট হতেই পারে। তৃণমূল যদি মনে করে রাজ্যের পরিস্থিতিতে বিজেপিকে আটকাতে কংগ্রেসকে দরকার, তাহলে তারা জোটের প্রস্তাব দিতেই পারে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকে। আর হাইকম্যান্ড অর্ডার দিলে প্রদেশ কংগ্রেস তা মান্যতা দিতেই পারে!
রাজ্যে জোট হওয়া অসম্ভব নয়!
সোনিয়া গান্ধী যে সম্মান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিরোধী বৈঠকে দিলেন, সেখানে ভবিষ্যতে রাজ্যে জোট হওয়া অসম্ভব নয়। এখন কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে জোট গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। আবার জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস-তৃণমূল অনেক কাছাকাছি। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব এর মধ্যে কোনও বিভ্রান্তি দেখছে না।
জাতীয় ও রাজ্য রাজনীতিতে বাধ্যবাধকতা
প্রদেশ কংগ্রেসের যুক্তি, জাতীয় ও রাজ্য রাজনীতিতে বাধ্যবাধকতা অনেক সময়ই আলাদা। অতীতেও এমন নিদর্শন রয়েছে। কেন্দ্রে সিপিএমের সমর্থনে যখন কংগ্রেস সরকার গড়েছিল, রাজ্যে কংগ্রেস তখন সিপিএম বিরোধিতাই করে গিয়েছে। আবার কেরলে কংগ্রেসের বিরোধিতার কারণেই পিনারাই বিজয়ন বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি।
প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের বার্তা
প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের বার্তার স্পষ্ট, তাদের কথায় জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের একজোট করতে চাইছেন সোনিয়া গান্ধী। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন মিলেছে। তার মানেই এই নয় যে, রাজ্যের সমস্ত বিষয় নিয়ে মমতার সরকারের বিরোধিতা করবে না কংগ্রেস। মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বঙ্গ সিপিএমও বিরোধী অবস্থান নিয়েছে।
তৃণমূল নেতৃত্ব রাজ্যের কংগ্রেস প্রসঙ্গে
আর তৃণমূল নেতৃত্ব রাজ্যের কংগ্রেসকে নিয়ে ভাবতে নারাজ। বাংলায় কংগ্রেস আর সিপিএম দুই ডুবন্ত তরী হাত ধরাধরি করে ডুবতে চলেছে। সেখানে কংগ্রেস কী করবে, তা নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই। সোনিয়া গান্ধী বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবথেক নির্ভরযোগ্য মুখ।
করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকের বাড়িতে হামলা, চাঞ্চল্য গোবরডাঙায়