রবীন্দ্রজয়ন্তীতে মমতার লেখা গান বাজা নিয়ে বিতর্ক! বাম-বিজেপির একত্রে তোপ মমতা সরকারকে
রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন সকাল মানেই রবীন্দ্রসঙ্গীতে ঘুম ভাঙা। তবে ২০২০ সালে সেই রবীন্দ্র জয়ন্তী কিছুটা আলাদা হল। এদিন, রবীন্দ্রসঙ্গীতের পাশপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা গান বাজানোরও নির্দেশ আসে প্রশাসনিক তরফে। এরপরই বুদ্ধিজীবীদের একাংশ ক্ষোভ উগড়ে দেয়।

কোন নির্দেশ প্রশাসনের
বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জেলা প্রশাসন ও পুলিশের কাছে নবান্ন থেকে বিশেষ নির্দেশিকা যায়। সেখানে বলা হয়, যে শুক্রবার রবীন্দ্র জয়ন্তীর দিন বাংলার বিভিন্ন জায়গায় যেন রবীন্দ্রসঙ্গীতের সঙ্গে চলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা গান।

বুদ্ধিজীবীদের একাংশের ক্ষোভ
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য পবিত্র সরকার বলেছেন, 'রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে রবীন্দ্রনাথের লেখা গান বাজানোটাই ভালো বলে মনে করি।' একই সুরে বাম বুদ্ধিজীবী মন্দাক্রান্তা সেনও এইভাবে মুখ্যমন্ত্রীর গান বাজানোর ঘটনাকে সমর্থন করেননি।

বাবুল সুপ্রিয়র তোপ
' অনেক সময়ে অফিসিয়াল অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখি শুধু আমার গানই বাজাচ্ছে, অনেক সময়ে আমি হয়তো দুলাইন গাইও।কিন্তু কোথাও নির্দেশিকা জারি করা হয়না যে আমার গান বাজাতেই হবে।এতো এডিজি জ্ঞানবন্ত সিং 'অর্ডার' বার করছেন যে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা গান বাজাতেই হবে।মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন'। টুইটারে এই ভাষাতেই তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।

লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষোভ
ক্ষোভ পুষে রাখেননি বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপধ্যায়য়েও। তিনিও দলীয় সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র সুরে সুর মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এমন নির্দেশিকার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন।

কবিগুরুর ১৬০ তম জন্মদিন ও রাজ্য সরকারর প্রস্তুতি
এর আগে,রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে , ৮ মে বিকেল ৪ টেয়ে ক্যাথিড্রাল রোড এলাকায় রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করবে রাজ্য় সরকার। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তবে জমায়েত যাতে না হয় বেশি, তার আবেদন রাজ্যসরকারের তরফে করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের জন্য কোনও মঞ্চ বাঁধা হবে না। কোনও গান বা নাতে আয়োজন হবে না। মুখ্যমন্ত্রী কেবল রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করবেন। এমনই তথ্য জানিয়েছে রাজ্যসরকারী সূত্র।

বাংলা ও রবান্দ্র জয়ন্তী
আগেই স্থির হয়েছিল যে চারিদিকের পরিস্থিতি বিচার করে এবার লকডাউনের জেরে রাজ্য সরকার রবীন্দ্র জয়ন্তী পালনে আড়ম্বরে কমতির পথে হাঁটবে। এছাড়াও অযথা রাস্তায় জমায়েত এই দিনে করা যাবে না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এদিন সকাল ৯ টা থেকে ১১ পর্যন্ত পুলিশি নির্দেশিকা মেনে বিভিন্ন জায়গায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা গান বাজানো হয়েছে।

তিনবছরের জন্য শ্রম আইন বাতিল উত্তরপ্রদেশে! অর্থনীতি চাঙ্গা করতে কড়া পদক্ষেপ যোগীর, ফাপড়ে শ্রমিকরা