অভিষেকেই রাহুলের মঞ্চ মাতালেন মিছিল! প্রিয়-আবেগ উসকে মন জয় রায়গঞ্জবাসীর
কংগ্রের সভাপতি রাহুল গান্ধীর মঞ্চে অভিষেক হল প্রিয়-পুত্র মিছিলের। পাকাপাকিভাবে রাজনীতিতে পা রাখেননি, এখনও তিনি পড়াশোনা করছেন লন্ডনে।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর মঞ্চে অভিষেক হল প্রিয়-পুত্র মিছিলের। পাকাপাকিভাবে রাজনীতিতে পা রাখেননি, এখনও তিনি পড়াশোনা করছেন লন্ডনে। দেশে ভোটের মরশুমে পড়াশোনায় খানিক বিরাম দিয়ে রাহুলের মঞ্চে উপস্থিত থাকলেন এবং মায়ের জন্য ভোট চাইলেন মিছিল। বললেন, 'আমার বাবাকে সমর্থন করুন, আর মাকে ভোটটা দিন।'
এইবারই প্রথম ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে প্রিয়রঞ্জন ও দীপা দাশমুন্সির ছেলে প্রিয়দীপ ওরফে মিছিলের। জীবনের প্রথম ভোটটাই তিনি দেবেন মাকে। শুধু ভোটই দেবেন না, মাকে জেতাতে মিছিলেও হাঁটছেন, আবার রাহুল গান্ধীর সভায় নেতার আসনও নিচ্ছেন। আবেদন করছেন মাকে জেতানোর।
এদিন রাহুলের সভায় তিনি ভাষণ দিলেন একেবারে পরিপক্ক রাজনীতিকের মতোই। কোনও চাপ নেই, তাঁর শরীরি ভাষাই বলে দিচ্ছিল তিনি তৈরি ভবিষ্যতের হাল ধরতে। ক্ষুরধার বাকশৈলী, আর চমকপ্রদ বাচনভঙ্গিতে তিনি মন জয় করে নিলেন উপস্থিত জনতার। মঞ্চের পোড়খাওয়া নেতারাও অভিভূত প্রিয়দীপকে দেখে।
মাত্র সাত মিনিট বক্তব্য রেখেছেন, হয়তো তাঁর বক্তব্য পুরোপুরি রাজনৈতিক নয়, তবু তাঁর প্রতিটি কথা ছিল ইঙ্গিতবাহী। তিনি দৃপ্ত কণ্ঠে বুঝিয়ে দিতে পেরেছেন কেন ভোট নয় নরেন্দ্র মোদীকে। স্বল্প বক্তব্যে তিনি মোদীকে নিশানায় ছুঁয়ে গিয়েছেন সমস্ত ইস্যুই। প্রিয়রঞ্জনের ছাপ রয়েছে তাঁর বক্তব্যে। সত্যিই 'বাপ কো ব্যাটা' হয়ে উঠতে পারেন কি না, তা বলবে ভবিষ্যৎ।
শুধু মোদীকেই নয়, কেন ভোটটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দেওয়া যাবে না, তাও ব্যাখ্যা করেছেন মিছিল। আর উসকে দিয়েছেন প্রিয়রঞ্জন-আবেগ। বাবার অসুস্থতা থেকে শুরু করে মায়ের সংগ্রাম, স্বল্প কথায় তিনি তুলে ধরেছেন যাবতীয়। প্রিয়রঞ্জনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার জাল বিছিয়েছেন খুবই সুচতুরভাবে। বাবার অতৃপ্ত ইচ্ছাকে বাস্তবায়িত করার আবেদন রেখেছেন রায়গঞ্জবাসীর কাছে।