বাবা-মাকে অত্যাচারের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশে এমনই অবস্থা ছেলে-বউয়ের
অবশেষে বাড়িতে ঢুকলেন বাঁশদ্রোণীর বৃদ্ধ বাবা-মা। ছেলে, বউমার বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। বাড়ির যে অংশটি ছেলে দখল করে রেখেছিলেন তাও খালি করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত
অবশেষে বাড়িতে ঢুকলেন বাঁশদ্রোণীর বৃদ্ধ বাবা-মা। ছেলে, বউমার বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। বাড়ির যে অংশটি ছেলে দখল করে রেখেছিলেন তাও খালি করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভাল। বাড়িতে ঢুকে এমনই প্রতিক্রিয়া বাঁশদ্রোণীর বৃদ্ধা কৃষ্ণা সাহার। নিজে না খেয়ে যে ছেলেকে খাইয়ে বড় করেছিলেন, সেই ছেলেই ভাতের থালা উল্টে দিত এবং মারধর করত। আদালতের নির্দেশে বাড়িতে ঢুকে এমনটাই অভিযোগ করলেন তিনি। কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু কিছুই করার নেই। প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধ প্রভাসচন্দ্র সাহার।
যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত ছেলে। পাল্টা মারধরের অভিযোগ করেছেন তিনি।
ছেলে, বউমার বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সম্পত্তির দাবিতে এই অত্যাচারের মাত্রা বাড়ছিল। বিষয়টি নিয়ে বাঁশদ্রোণী থানার দ্বারস্থ হলেও, পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে আলিপুর আদালতে পারিবারিক সুরক্ষা আইনে ছেলের বিরুদ্ধে আবেদন করেন মা।
আলিপুর আদালতের চতুর্থ বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট পবিত্র সেন বাঁশদ্রোণী থানার ওসিকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। শুক্রবার ম্যাজিস্ট্রেট চব্বিশ ঘণ্টার মধ্য়ে ছেলে, বউমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশও দেওয়া হয়।
এই মামলায় আদালত মনে করে, বাবা-মায়ের প্রতি কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছেন ছেলে। অভিযুক্ত ছেলে যাতে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেয়, সেই নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক।