মোদীর সভায় কেন বিজেপিতে যোগ দিলেন না দিব্যেন্দু, উঠে আসছে নানা কারণ
মোদীর সভায় কেন বিজেপিতে যোগ দিলেন না দিব্যেন্দু, উঠে আসছে নানা কারণ
মঙ্গলবারও বিজেপিতে (bjp) যোগ দেওয়ার ব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি দিব্যেন্দু অধিকারী (dibyendu adhikari)। এদিন বাড়ি থেকে নিজে বেরিয়েও, কাঁথিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর (narendra modi) সভায় না গিয়েও নিজের অফিসে চলে যান তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে অবশ্য জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
দুই ভাই ও বাবা যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে
১৯ ডিসেম্বর কাঁথির অধিকারী পরিবারে প্রথম পদ্ম ফোঁটে। সেদিন মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর ভাই সৌমেন্দু এবং সব শেষে কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেন। শিশির অধিকারীও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অমিত শাহের সভায়। যদিও তিনি ওই সভায় তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেননি। তবে বলেছেন, শুভেন্দুর হাত শক্ত করতেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। তিনি ইতিমধ্যে প্রচারেও অংশ নিতে শুরু করেছেন।
মঞ্চে দিব্যেন্দু না থাকায় জল্পনা
এদিনের সভায় শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি যে শিশির অধিকারী থাকবেন তা সকলেই জানতেন। কিন্তু দিব্যেন্দু অধিকারী থাকবেন কিনা আগে থেকে কিছুই বলেননি। এদিন সকালে কাঁথির শান্তি কুঞ্জ থেকে একের পর এক গাড়ি যায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর সভাস্থলের দিকে। এমন কী দিব্যেন্দু অধিকারীর স্ত্রীও ছিলেন সেই দলে। প্রায় একই সময়ে বাড়ি থেকে বের হন দিব্যেন্দু। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি সেখানে না গিয়ে চলে যান নিজের অফিসে। যা নিয়েই জল্পনা তীব্র হয়। অধিকারী পরিবারের মধ্যে দিব্যেন্দুই এখনও সরকারিভাবে তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছেন। তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা জানালে কাঁথির অধিকারী পরিবারের সঙ্গে ঘাসফুল শিবিরের সব সংযোগ ছিন্ন হয়ে যাবে।
যোগাযোগ রয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে
এদিন বিজেপিতে যোগ না দিলেও দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের যোগাযোগ রয়েছে বলেই খবর সূত্রের। তাঁর বর্তমান অবস্থান কিছু কৌশলগত বলেও মন্তব্য করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠমহল। কেননা শিশির অধিকারী অমিত শাহের সভায় হাজির হওয়ার পরেই লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে তাঁর সদস্যপদ খারিজ করার দাবি জানিয়ে চিঠি দেবে বলে জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। সেই জন্যই তিনি কিছুটা সাবধানী।
রয়েছে অন্য কারণও
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর বাইরে রয়েছে একাধিকর কারণ। এই মুহুর্তে তাঁকে নতুন কোনও আসনে প্রার্থী করার মতো জায়গায় নেই বিজেপি। পাশাপাশি তাঁকে নতুন কোনও পদ দেওয়ার মতো পরিস্থিতিও নেই বর্তমানে। যদিও এব্যাপারে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব কোনও মন্তব্য করেননি।
দিদির কথা রাখলেন হেমন্ত, ভোটের আগে বিজেপি বিরোধিতার পারদ চড়িয়ে শাহদের বোঝালেন স্টান্স