মুকুলের হুঁশিয়ারির পরেই বড় ভাঙন বিজেপিতে, দিলীপের বৈঠকে 'রহস্যজনক' ভাবে গরহাজির বিধায়ক-সাংসদরা
বিজেপিতে বড়সড় ধাক্কা। বিজেপি ছাড়লেন মুকুল রায়। সাড়ে তিন বছর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে ফিরলেন মুকুল। আর সেখানে ফিরেই চোখে মুখে যেন স্বস্তির ছাপ। বললেন, ফিরে বেশ ভালো লাগছে। একই সঙ্গে প্রছন্ন হুমকি দিলেন বিজ
বিজেপিতে বড়সড় ধাক্কা। বিজেপি ছাড়লেন মুকুল রায়। সাড়ে তিন বছর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে ফিরলেন মুকুল। আর সেখানে ফিরেই চোখে মুখে যেন স্বস্তির ছাপ। বললেন, ফিরে বেশ ভালো লাগছে। একই সঙ্গে প্রছন্ন হুমকি দিলেন বিজেপিকে। সাফ জবাব, ওই দলে কেউ থাকতে পারবে না। কার্যত বিজেপি ফাঁকা হয়ে যাওয়ার কথা মুকুলের মুখে।
তাঁর এহেন বক্তব্যের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ভাঙন বিজেপিতে। পদত্যাগ করলেন মুকুল ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা। কাজ না করতে পারার অভিযোগ ওই নেতার।
দল ছাড়লেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ নেতা
এক দিকে মুকুল রায় যখন বিজেপি ছাড়ছেল, অন্য দিকে তখনই দল ছাড়ার কথা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিলেন মুকুল-ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা। বনগাঁয় শুক্রবারই দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে যান দিলীপ ঘোষ। আর সেই দিনই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া জেলা সহ-সভাপতি তপন সিন্হা (খোটে) পদত্যাগ করলেন। তিনি চিঠিতে জানালেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে পদত্যাগ করছেন। তিনি লিখেছেন, 'বেশ কিছু দিন ধরে দলের হয়ে কাজ করতে পারছিলাম না। সেই কারণেই পদত্যাগ করলাম।' শুধু তাই নয়, বিভিন্ন বৈঠকে তাঁকে ডাকা হচ্ছিল না বলেও অভিযোগ। আর সেই কারণেই বিজেপি ছাড়ার ঘোষণা বলে দাবি।
দিলীপের বৈঠকে গরহাজির একাধিক নেতা
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভায় গরহাজির একাধিক নেতা, বিধায়ক ও সাংসদ। দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বৈঠকে কেন যোগ দিচ্ছেন না নেতারা, তা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ শুক্রবার দুপুরে বনগাঁয় গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা নিয়ে বৈঠক করার কথা ছিল তাঁর। গুরুত্বপূর্ণ সেই বৈঠক নিয়েই বিজেপির অন্দরে তৈরি হয়েছে চাপানউতোর। কারণ, সেই বৈঠকে দেখা মিলল না বনগাঁ মহকুমার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর এবং বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের। বিধায়ক, সাংসদদের পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে দেখা যায়নি বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডলকেও। সাংগঠনিক বৈঠক, অথচ দলের শীর্ষপদে থাকা জনপ্রিতিনিধিরাই নেই। অনেকেই বলছেন মুকুল এফেক্ট!
দিল্লিতে রয়েছেন শান্তনু!
শান্তনু ঠাকুরের বৈঠকে যোগ না দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে রবারই দলের সঙ্গে ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের গলায়। তিনি কেন বৈঠকে যোগ দিলেন না, সে বিষয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতির প্রতিক্রিয়া, "কেন তিনি আসেননি, কোনও সমস্যা হয়েছে কিনা তা খোঁজ নিয়ে দেখব। তবে শুনেছি সাংসদ দিল্লি গিয়েছেন।" এক সংবাদমাধ্যমকে শান্তনু জানিয়েছেন, দিল্লিতে রয়েছি। কাজে এসেছি। বৈঠকের বিষয়ে কিছু জানা নেই।
বাকিরা কি বলছেণ?
কেন বৈঠকে যোগ দিলেন না, সে বিষয়ে মুখ খুলেছেন গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। তিনি বলেন, "শরীর অসুস্থ। সর্দি-কাশি জ্বর হয়েছে। সে কারণে যাওয়া হল না।" বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসও শারীরিকভাবে অসুস্থ। কলকাতায় চিকিৎসা করাতে যাওয়ার ফলে ওই বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি বলেই জানান।