পুলিশ লাইন সাপের বাসা, সর্প-জুজুতে ‘সসেমিরা’ রাইফেলধারীরা
সর্প-জুজুতে ‘সসেমিরা’ রাইফেলধারীরা। একেবারে হৃদকম্প অবস্থা পুলিশের। চলতে ফিরতে বারবার ফিরে ফিরে আসছে সাপের ভীতি।
হুগলি, ১১ জানুয়ারি : সর্প-জুজুতে 'সসেমিরা' রাইফেলধারীরা। একেবারে হৃদকম্প অবস্থা পুলিশের। চলতে ফিরতে বারবার ফিরে ফিরে আসছে সাপের ভীতি। বিশাল এক চন্দ্রবড়া উদ্ধার হওয়ার পরও ভয় যাচ্ছে না পুলিশের। যেহেতু সাপটি ইতিমধ্যেই বংশ বিস্তার করেছে, তাই আরও সাপ রয়েছে এই ভয়ে পুলিশ আড়ষ্ট।
হাতে রাইফেল, পরণে খাঁকি উর্দি। তবু ভয় পিছু ছাড়ছে না পুলিশের। সব সময় মনে হচ্ছে এই বুঝি বেয়ে এল বিষধর সাপ। দু'দিন ধরেই এই ভয় তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে গুলি পুলিশ লাইনে। কাজ শিকেয় তুলেছে পুলিশ। পুলিশ লাইনের কর্মীরা সারাদিন শুধু খুঁজে বেড়াচ্ছে সাপকে। এই সর্প ভীতিতে খোদ এসপিও আড়ষ্ট।
তিনি দিন কয়েক হল হুলি পুলিশের দায়িত্ব নিয়েছেন। এসেই এমন এক কাণ্ডের মুখোমুখি হতে হল, যে তিনি পড়েছেন ঘোর ফ্যাসাদে। লোক বাঘের ভয়ে আড়ষ্ট হয়, এমনই পরিস্থিতি হুগলি পুলিশ আড়ষ্ট সাপের ভয়ে। তাই ভয় কাটাতে তড়ঘড়ি খবর দেওয়া হয় সর্প বিশেষজ্ঞ চন্দন ক্লেমেন্ট সিংকে।
তিনি এসেই আপাত সমস্যার সমাধান করেন। কোথায় সাপের বাসা খুঁজে পাচ্ছিলেন না কেউ। চন্দনই আবিষ্কার করে এসপি অফিসে ঢোকার মুখে সিঁড়ির নিচে বাসা বেঁধেছে চন্দ্রবড়া। তিনি ধেরও ফেলেন সাপটিকে। সাপটি উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে বন দফতরে। কিন্তু চন্দন পুলিশকে শুনিয়ে দিয়েছে, ইতিমধ্যেই বংশ বিস্তার করেছে সাপটি।
ব্যস, ভয়ে আর যাবেন কোথা উর্দিধারীরা? তাহলে এখনও তো চন্দ্রবড়া রয়েছে? কিন্তু তাঁদের হদিশ মেলেনি এখনও। চন্দনের ফোন নম্বর নিয়ে রেখেছেন এসপি। সাপ দেখলেই চন্দনকে ফোন। তারপরই মিলবে ভয়-মুক্তি!