মুকুল রায় নারদ ঘুষ মামলায় এক নম্বর অভিযুক্ত! সিডি-তে নাম উঠতেই মির্জার নিশানা

নারদ-কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার হয়েছেন আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জা। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পরই এই ঘটনায় সবার আগে চলে এসেছে বিজেপি নেতা মুকল রায়ের নাম। এবার সেই মুকুল রায়কেই এই ঘুষ মামলার এক নম্বর অভিযুক্ত হিসেবে প্রমাণ করতে মরিয়া হয়েছেন মির্জার আইনজীবী। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকেও সিডি-তে উল্লেখ করা হয়েছে মুকুলের নাম।

নারদ-কাণ্ডে বিস্ফোরক মির্জা
সোমবার আদালতে শুনানি শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মির্জা জানিয়েছেন তিনি মুকুল রায়ের নির্দেশেই টাকা নিয়েছিলেন। এবং টাকা তুলে দিয়েছিলেন তাঁর হাতেই। তার আগে শনিবার মুকুল রায়কে মির্জার সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে সিবিআই। রবিবার ফের মির্জাকে নিয়ে তদন্তকারী অফিসাররা হাজির হন মুকুলের বাড়িতে।

৫ বছর পর তেন গ্রেফতার
মুকুলের বাড়িতে ঘটনার পুনর্গঠন করা হয়। তা আবার ভিডিওগ্রাফিও করা হয়। এদিন মির্জাকে আদালতে তোলা হলে তাঁর আইনজীবী জানান, ২০১৪ সালে স্টিং অপারেশন হয়েছিল। ২০১৯ সালে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এদিকে ২০১৭ সাল থেকে পৃথক একটি মামলায় মির্জা সাসপেন্ড। একজন সাসপেন্ডেড পুলিশ অফিসার কখনো প্রভাব খাটাতে পারে না।

মুকুল রায়ের নাম সিডি-তে
এই ঘটনায় নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলসের দিকে আঙুল তোলা হয়। ম্যাথুকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আর্জি জানানো হয়। এদিকে সিবিআইয়ের পক্ষে আইনজীবী জানান, পিটিশনে সবকিছু আমরা উল্লেখ করিনি। কারণ সে ক্ষেত্রে ডিফেন্স অনেক সময় সুবিধা পেয়ে যায়। সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার রঞ্জিত কুমার জানান, মুকুল রায়ের নাম সিডি-তে উল্লেখ করা হয়েছে।

ওনার ভয়েস তো শোনা যাচ্ছে
আর শুনানি শেষে মুকুলের টাকা নেওয়ার ছবি সংক্রান্ত বয়ানের জবাবে মির্জা বলেন, টাকা নেওয়ার ছবি দেখা যায়নি তো কী! ওনার ভয়েস তো শোনা যাচ্ছে। আর তদন্ত চলছে, তদন্তেই স্পষ্ট হয়ে যাবে সবকিছু। আইন আইনের পথে চলছে। আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে আইনের উপর। অপেক্ষা করুন সব জানতে পারবেন।

ছবি নয়, ইনভেস্টিগেশন হচ্ছে
মির্জা বলেন, সব সত্যি কথা বলেছি। সব ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়েছে। আইন আইনের পথে চলছে। সত্যিকথা আপনারা পরে জানতে পারবেন। মুকুল রায় টাকা নেননি বললেই তো হবে না, ছবি সবসময় সব প্রমাণের শেষ কথা নয়। ইনভেস্টিগেশনকেও তো গুরুত্ব দিতে হবে।
[ ছবিতে নেই তো কী! মুকুলের নির্দেশেই টাকা নিয়েছেন, জল্পনা বাড়িয়ে জানালেন মির্জা ]