সন্দেশখালির নদীর চরে উদ্ধার কঙ্কাল, বিজেপি কর্মীর নিখোঁজ রহস্য ঘনীভূত
রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে গত বছর ৮ জুন রক্তাক্ত চেহারা নেয় উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ভাঙ্গি পাড়া। তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষে মৃত্যু হয় উভয় পক্ষের তিন জনের।
রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে গত বছর ৮ জুন রক্তাক্ত চেহারা নেয় উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ভাঙ্গি পাড়া। তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষে মৃত্যু হয় উভয় পক্ষের তিন জনের। একজন তৃণমূল কর্মী কায়ুম মোল্লা, বাকি দুজন বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল, সুকান্ত মণ্ডল। এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা যায়। তাদের মধ্যে অন্যতম দেবদাস মণ্ডল সেদিনের রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় নিখোঁজ হন। নিখোঁজ ছেলের সন্ধান পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বাবা বাসুদেব মণ্ডল। যে মামলা বিচারাধীন রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলায় সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে আগামী সপ্তাহে রিপোর্ট দিতে।
এই মধ্যে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্দেশখালি থানার টোঙতলা ডাঁসা নদীর চর থেকে মাথার খুলি-হাড় উদ্ধার করল রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রতিনিধিরা। সেগুলি ফরেনসিক ল্যাবরেটরীতেও পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দাদের দাবি এই উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল নিখোঁজ দেবদাস মন্ডলের। তবে গোয়েন্দাদের এই দাবি মানতে নারাজ নিখোঁজ দেবদাস মন্ডল এর পরিবার। কারণ হিসেবে অবশ্য তাদের দাবি, উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল তাদেরকে দেখানো হয়নি। পুলিশ কিছু ধামাচাপা দিতে চাইছে। তাই এই তদন্ত হোক স্বাধীন কোন তদন্ত সংস্থা সিবিআই বা এনআইকে দিয়ে।
তবে এদিন সন্দেশখালির টোঙতলায় নদীর চর থেকে কঙ্কাল উদ্ধার হওয়ায় একটা প্রশ্ন দানা বাঁধছে সবারই মনে। উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল কি নিখোঁজ বিজেপি কর্মী দেবদাসের? যদি তাই হয় তাহলে আরেকটি প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে, দেবদাস কে খুন করল কে বা কারা ? তার মৃত্যুর আসল কারণ কি ? সেই মামলাও বিচারাধীন রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ সন্দেশখালির মৃত অপর দুই বিজেপি কর্মীর পরিবার। তাদের অভিযোগ তদন্তে পুলিশ একেবারেই নিষ্ক্রিয়। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় তাদের কাউকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি প্রকাশ্যে দিবালোকে তারা ঘুরে বেরাচ্ছে।
স্থানীয় ২৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা সত্ত্বেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করা হয় নি। ঘটনার আট মাস পেরোতে চলল, তার সত্বেও পুলিশ নিখোঁজদের কোনও সন্ধান করতে পারেনি। ঘটনার যাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেনি। কেন ? স্থানীয়রা আঙুল তুলছে পুলিশের দিকেই।