বাড়ির দালানে গৃহবধূর কঙ্কাল উদ্ধার, চাঞ্চল্য কাঁথির দারুয়াপাড়ায়
কাঁথি, ১৭ সেপ্টেম্বর : দশ মাস নিখোঁজ থাকার পর বধূর কঙ্কালসার দেহ উদ্ধার হল খাটের তলা থেকে। বাপের বাড়ির দালানে খাটের তলায় মাটি খুড়ে পুঁতে রাখা হয়েছিল দেহটি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির দারুয়াপাড়ায়। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা স্বামী। [কঙ্কালকাণ্ড হরিণঘাটায়, ৯ মাস মায়ের দেহ আগলে ২ ছেলে]
শনিবার সকালে মাটি খুঁড়তে গিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। পচা দুর্গন্ধ বেরোতে থাকে গর্ত থেকে। খবর দেওয়া হয় কাঁথি থানায়। পুলিশ আসার পরেই আরও মাটি খুঁড়ে চক্ষু চড়কগাছ স্থানীয় বাসিন্দাদের। দালানের নীচ থেকেই উদ্ধার আস্ত এক নরকঙ্কাল। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় । ক্রমেই উন্মোচন হয় রহস্যের। [সল্টলেকের নির্মীয়মাণ বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার কঙ্কাল!]
স্ত্রীকে খুন করে চুপচাপ তাঁরই বাপের বাড়ির দালানের খাটের তলায় পুঁতে দিয়েছিল স্বামী। তারপর নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে নিজেই থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল স্ত্রীর নামে। এত করেও শেষরক্ষা হল না। সামনে চলে এল সত্যটা। ['সাইকো কাণ্ড'! হাওড়ায় মেয়ের মরদেহ নিয়ে বাস মায়ের]
জানা গিয়েছে, বছর দেড়েক আগে নূরজাহান খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় কেরলের এক যুবকের। বিয়ের পর পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির দারুয়ায় ঘর ভাড়া নিয়ে চলে আসে তারা দুজন। কিছুদিন পর থেকেই তাদের সংসারে শুরু হয় অশান্তি। এরপর হঠাৎ একদিন নিখোঁজ হয়ে যান নুরজাহান। এলাকা বাসীর সন্দেহ হয় সাংসারিক আশান্তির জেরেই ঘর ছেড়ে পালিয়েছেন তিনি। আর এই মিথ্যেটিকে সত্য প্রতিপন্ন করতে 'গুণধর স্বামী' থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়রি করে। ['কঙ্কাল কাণ্ড'-র ছায়া, মায়ের মরদেহ আগলে তিন রাত ঘরবন্দি ছেলে]
২০১৫ সালের নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই তরুণী গৃহবধূ। এতদিন পর তাঁর কঙ্কালসার দেহ মেঝের তলা থেকে উদ্ধার হওয়ায় স্পষ্ট হয়ে যায় মৃতার স্বামীই খুন করে লোপাট করেছিল দেহ। কিছুদিন পর বেপাত্তা হয়ে যায় যুবকও। যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।