মাঝরাতে দরজায় ধাক্কা দিচ্ছে কে! উত্তর শুনেই তড়িঘড়ি খুলতেই বাধল ঘোর বিপত্তি
মাঝরাতে দরজা-জানলায় টোকা দিচ্ছে কেউ! কে? প্রশ্ন করতেই চটদলদি উত্তর- পুলিশ, তাড়াতাড়ি দরজা খুলুন, কিছু জিজ্ঞাসা আছে। তা শুনে দরজা খুলে দিতেই ঘোর বিপত্তি বাধল।
মাঝরাতে দরজা-জানলায় টোকা দিচ্ছে কেউ! কে? প্রশ্ন করতেই চটদলদি উত্তর- পুলিশ, তাড়াতাড়ি দরজা খুলুন, কিছু জিজ্ঞাসা আছে। তা শুনে দরজা খুলে দিতেই ঘোর বিপত্তি বাধল। হুড়মুড়িয়ে ঘরে ঢুকে পড়ল জনা কয়েক লোক। সবার পরণেই পুলিশের সাজ, হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। ঘরে ঢুকেই তাঁরা স্বমূর্তি ধরল। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা নরেন্দ্রপুর থানার নেতাজিনগরের আমবাগান এলাকায়।
ঘরে ছিলেন বছর ষাটেকের মায়া দত্ত ও তাঁর ছোট ছেলে অরূপ। তাঁরা জানান, ঘরে ঢুকেই ওরা মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ধরে বলে সোনাদানা, টাকা-পয়সা, যা আছে সব দিয়ে বলেন। এই বলে ঘর থেকে ৭০ হাজার নগদ টাকা ও ১৩ ভরি সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ডাকাতদলে ছিল ছ-জন। তাদের মধ্য তিন জন পুলিশের উর্দিতে, তিনজন সাধারণ পোশাকে ছিল।
পুলিশ শুনে ও পুলিশের উর্দি দেখে দরজা খুলে যে এতবড় বিপাকে পড়তে হবে বুঝতে পারেননি অরূপ। দুষ্কৃতীরা আবার লুঠপাট করে বেরিয়ে বাড়ির সামনে শূন্যে কয়েক রাউন্ট গুলি চালায়। তারপর পালিয়ে যায়। এরপর অরূপ তাঁর বন্ধ সুরজিৎকে ফোন করে সবকিছু জানায়।
সুরজিৎ দলবল নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। গ্রামের লোক বেরিয়ে পড়ায় তাড়া খেয়ে একজন ডাকাতকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। তাকে উত্তমমধ্যম দেওয়ার পর তুলে দেওয়া হয় পুলিশেরে হাতে। পুলিশ ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দুষ্কৃতীরা কোথা থেকে পুলিশের উর্দি পেল, তাও জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।